ভোলার মনপুরায় আকস্মিক বজ্রপাতে একই কৃষকের চারটি গরুর মৃত্যু হয়েছে। উপার্জনের একমাত্র সম্বল গরুগুলো হারিয়ে সর্বস্বান্ত ও হতবাক হয়ে পড়েছেন ওই কৃষক।
মৃত গরুগুলোর পাশে আহাজারি করতেও দেখা গেছে ওই পরিবারের সদস্যদের।
এছাড়াও হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ের সময় বজ্রপাতে উপজেলায় আরও চারটি সহ মোট আটটি গরুর মৃত্যু হয়েছে।
রোববার (২০ এপ্রিল) ভোরে মনপুরা উপজেলার হাজীর হাট ইউনিয়নের চর যতিন গ্রামের ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আলমগীর মিয়ার ছেলে মিরাজের গোয়াল ঘরে এ বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে।
এছাড়াও উপজেলার উত্তর সাকুচিয়া ও দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নে পৃথক পৃথক মালিকের চারটি গরুর মৃত্যু হয়।
সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক মোঃ রিয়াজ জানান,
ভোরে হঠাৎ করে ঝড়ো হাওয়াসহ কালবৈশাখী ঝড় শুরু হয়। ঝড়ের মাঝে মুহুর্মুহু বজ্রপাত শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই হটাৎ বিকট শব্দে গোয়ালের কাছাকাছি বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে।
এতে আমার গোয়াল ঘরে থাকা দুটি গাভীন গরু ও কোরবানির হাটে বিক্রির জন্য প্রস্তুত ২টি ষাড় মারা যায়। এতে প্রায় ৩ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি।এই বলে হাউমাউ করে কাদতে থাকেন।
এদিকে মনপুরা উপজেলায় বজ্রপাতে আরও চারটি গরুর মৃত্যু হয়। উপজেলার উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা নিজাম কাজীর ১ টি, ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা জয়নাল আবদিনের ১ টি, দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সাত্তার রাড়ীর ১ টি ও সেলিম সর্দারের ১ টি গরু মারা যায়।
বজ্রপাতে মৃত আটটি গরুর মূল্য কমপক্ষে ৭ লক্ষ টাকা হবে বলে ধারনা করছেন স্থানীয়রা।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার লিখন বনিক জানান, বজ্রপাতে একই ব্যক্তির চারটি সহ আটটি গরু মৃত্যুর খবর পেয়েছি। এটা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জন্য অত্যন্ত দুঃজনক ব্যাপার। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সরকারিভাবে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।