সেই রাবিশ উঠিয়ে কাজ করা প্রতিশ্রুতি দিয়ে কাজ শুরু করলেও মানছে না ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি। উল্টো সড়কে থাকা রাবিশের উপর মেকাডমের কাজ শুরু করেছেন ঠিকাদার। স্থানীয় লোকজন বাঁধা দিলেও তিনি তা বাঁধা উপেক্ষা করে কাজ অব্যাহত রেখেছেন।
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে অনিয়ম যখন নিয়মে পরিনত হয়ে পড়েছে। কোন এক ক্ষমতার বলে এলজিইডি অফিসকে তোয়াক্কা না করে চলছে রাস্তা নির্মান কাজ। রাবিশ দিয়ে রাস্তা নির্মান করায় এলজিইডি অফিস কাজ বন্ধ করে রাখেন।
সেই রাবিশ উঠিয়ে কাজ করা প্রতিশ্রুতি দিয়ে কাজ শুরু করলেও মানছেনা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি। উল্টো সড়কে থাকা রাবিশের উপর মেকাডমের কাজ শুরু করেছেন ঠিকাদার। স্থানীয় লোকজন বাঁধা দিলেও তিনি তা বাঁধা উপেক্ষা করে কাজ অব্যাহত রেখেছেন।
স্থানীয় লোকজন বার বার এলজিইডি অফিসে অভিযোগ করে লাভ হচ্ছেনা কোনভাবে। কোন এক অদৃশ্য শক্তির বলে কাজ করে যাচ্ছে ঠিকাদার।এলজিইডি অফিস দেখতেছি দেখতেছি বলে নিম্নমানে মালামাল দিয়ে কাজ শেষ করে চলছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এস. এম ফাহাদ এন্ট্রারপ্রাইজ। গত কয়েকদিন ধরে উপজেলার ৮নং পাইকপাড়া ইউনিয়নের কড়ৈতুলি টু শাশীয়ালী সড়ক নির্মান কাজ চিত্র এটি।
এলজিইডি সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুর এলজিইডি অফিস কর্তৃক টেন্ডার মধ্যে দিয়ে কাজ নেন এস এম ফাহাদ এন্ট্রারপ্রাইজ।৭৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ফরিদগঞ্জ উপজেলার পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের কড়ৈতলী বাজার থেকে দক্ষিণ শাশিয়ালী এমএ বারী মিয়াজী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সড়কের পাকা করণের কাজ করছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এসএম ফাহাদ এন্টারপ্রাইজ।সরজমিনে গিয়ে জানাযায়, রাস্তায় ফেলা রাবিশগুলো দিয়েই কাজ করছে ঠিকাদারের লোকজন। রাস্তার পাশে থাকা ইটের সুড়কি দিয়েই চলছে কাজ।
এই নিয়ে স্থানীয় লোকজন একাদিক বার অভিযোগ করলেও ব্যবস্থা নিচ্ছেনা এলজিইডি অফিস, এমটি দাবি স্থানীয়দের। গত ২৫ জুন স্থানীয়দের অভিযোগের বৃত্তিতে টেলিভিশন ও পত্রিকায় নিউজের পর কয়েদিন কাজ বন্ধ রাখছিলেন ঠিকাদার। এলজিইডি অফিস মেনেজ করে নাকি রাবিশ দিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন ঠিকাদার এমনটি জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে মোঃআমান উল্ল্যা ফারাবী,মোঃমোস্তফা মিলন,মোঃ ইউনুছসহ বেশ কয়েকজন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,এই সড়কটি দিয়ে চলাচল করতে স্কুল, কলেজ,মাদ্রাসায় পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী সহ স্থানীয় বসবাসকারীরা দীর্ঘদিন যাবৎ দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন। পরবর্তিতে রাস্তাটির কাজ শুরু করার খবরে আমাদের মনে স্বস্তি ফিরলেও যারা রাস্তার কাজ করে তাদের কর্মকান্ডে পূর্বের দূর্ভোগের চিন্তা আমার মাথায় আবার বাসা বেঁধেছে।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এমন নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে কাজ করছে, যা জনসাধাণের চোখে তাদের দূনীতি দৃশ্যমান। আমরা চাই সড়কের দায়িত্বে যারা আছে, তারা সঠিক তদারকি করে আমাদের সড়কের কাজের গুণগতমান বজায় রাখতে সহায়ক হবেন।কাজের বিষয়ে ঠিকাদার মোঃ সুলতান আহাম্মেদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি নিয়ম মেনে কাজ করার চেষ্টা করছি।এব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী আবরার আহমেদ বলেন, কড়ৈতলী বাজার থেকে দক্ষিণ শাশিয়ালী এম এ বারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সড়কের অনিয়মের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছিলাম।
পুনরায় নিয়মানুয়ায়ী কাজ শুরু করার কথা বলেছি। আমি বিষয়টি সরেজমিন গিয়ে দেখবো।চাঁদপুর জেলার এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আহসান কবির বলেন,আমি ফরিদগঞ্জ উপজেলা এলজিইডি অফিসের সাথে কথা বলেছি। নিম্নমানের মালামাল দিয়ে যাতে ঠিকাদার কাজ না করে।