ঝালকাঠির নলছিটিতে যৌতুকের টাকা না দেওয়ায় স্ত্রীকে রাতভর নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে এক পাষণ্ড স্বামীর বিরুদ্ধে। ঝালকাঠি উপজেলার নাচনমহল ইউনিয়নের কুড়ালিয়া গ্রামে গত শনিবার ১১ মে রাতে এ ঘটনা ঘটে।
আহত অবস্থায় রোববার ১২ মে সকাল ১০টার দিকে স্বামীর বাড়ি থেকে পালিয়ে যান নাসিমা বেগম নামের ওই নারী। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে নলছিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হলে ঐদিন বিকেলে তাকে চিকিৎসার জন্য বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় পরে নাসিমা বেগমের বড় ভাই আলাউদ্দিন হাওলাদার নলছিটি থানায় অভিযুক্ত আব্দুল্লাহ ওরফে রানার বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন। ওই মামলায় অভিযুক্ত স্বামী আবদুল্লাহ ওরফে রানাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জানা যায়, সাত বছর আগে নাচনমহল ইউনিয়নের দক্ষিণ ভবানীপুর গ্রামের তৈয়ব আলী হাওলাদারের প্রবাসী মেয়ে নাসিমা বেগমের সঙ্গে একই ইউনিয়নের কুড়ালিয়া গ্রামের আনোয়ার হাওলাদারের ছেলে রানার বিয়ে হয়। বিয়ের দুই বছর পর নাসিমা বেগম তার স্বামী রানাকে প্রবাসে নিয়ে যান। সেখান থেকে ১০ এপ্রিল ছুটিতে বাড়িতে আসেন তারা।
দেশে আসার পর নতুন ঘর নির্মাণের কথা বলে নাসিমার কাছ থেকে ৬ লাখ টাকা নেন রানা। এরপর আবারও টাকা চাইলে নাসিমা দিতে রাজি হননি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রানা সহ তার পরিবারের লোকজন মিলে রাতভর নাসিমাকে মারধর করেন এবং একটি কক্ষে আটকে রাখেন।
নাসিমার ভাই আলাউদ্দিন বলেন, ‘সে (রানা) আমার বোনকে প্রবাসেও বিভিন্নভাবে অত্যাচার করতো। টাকা-পয়সা নিয়ে যেতো। দেশে এসেও একবার টাকা নিয়েছে জমি ও নতুন ঘর নির্মাণের কথা বলে। এখন আমার বোনের কিছু টাকা আছে সেই টাকা আত্মসাত করার জন্য আমার বোনের ওপর তারা অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ‘শনিবার আমার বোনকে মেরে তারা আটকে রাখে। পরে সে বাথরুমে যাওয়ার কথা বলে কোনোরকম রাস্তায় এসে এক রিকশাওয়ালার সহায়তায় আমাদের কাছে পৌঁছায়। তার মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছে। আমার বোন এখন ব্যথায় কাতরাচ্ছে।
এ বিষয়ে নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুরাদ আলী জানান, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্তকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।