ঢাকা | বঙ্গাব্দ

আগামী বছর ডিসেম্বরে যুক্ত হবে বিশ্বমানের ক্যানসার, কিডনি ও হৃদরোগ বিভাগ

  • প্রতিনিধির নাম :মাটি মামুন, ক্রাইম রিপোর্টার বগুড়া: | নিউজ প্রকাশের তারিখ : May 25, 2025 ইং | নিউজটি দেখেছেনঃ 4878 জন
আগামী বছর ডিসেম্বরে যুক্ত হবে বিশ্বমানের ক্যানসার, কিডনি ও হৃদরোগ বিভাগ ছবির ক্যাপশন: স্বাধীন ৭১
ad728
দেশের উত্তরের মানুষের উচ্চমানের চিকিৎসা সেবার একমাত্র ভরসা রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। এক হাজার শয্যা এই হাসপাতালটিতে প্রতিদিনই চিকিৎসা নিচ্ছেন প্রায় দুই হাজার রোগী। আগামী বছর ডিসেম্বরে যুক্ত হবে ৪৬০ শয্যা বিশিষ্ট বিশ্বমানের আধুনিক ক্যানসার, কিডনি ও হৃদরোগ বিভাগ।

 ইতোমধ্যে ১৭ তলা ভবনের ছাদ ঢালাই শেষ হয়েছে। নির্মাণকাজ দ্রুত এগোচ্ছে। ক্যানসার,কিডনি ও হৃদরোগ বিভাগের জনবল, সরঞ্জমাদি ও মেশিনপত্র সরবরাহের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। এমনটি জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আশিকুর রহমান।

একদিকে নির্ধারিত বেডের চাইতে রোগীর সংখ্যা বেশি,অপরদিকে চিকিৎসক সংকটের জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসকসহ সেবিকাগণও সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন। এছাড়া রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ক্যানসার আক্রান্ত রোগীরা পাচ্ছেনা প্রযোজনীয় চিকিৎসা সেবা।

দরিদ্র আর নিম্নবিত্ত রোগীদের পোহাতে হয় চরম দুর্ভোগ। এ পরিস্থিতিতে নির্মাণাধীন ক্যানসার, কিডনি ও হৃদরোগ ইউনিটটি ঘিরে আশার আলো দেখছেন এই অঞ্চলের সাধারণ মানুষ। এই অঞ্চলের দুই কোটি মানুষের জন্য বিশেষায়িত চিকিৎসাসেবা কেন্দ্র হবে এটি। এতে স্বাস্থ্য সেবাখাতে সুবিধাপ্রাপ্তিতে আরও একধাপ এগিয়ে যাবে এই জনপদের মানুষ।

গণপূর্ত বিভাগের তত্ত্বাবধায়নে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ক্যাম্পাসে ১ একর ৩৭ শতক জমির ওপর অত্যাধুনিক এই ইউনিটের নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে। স্থাপত্য অধিদপ্তরের নকশার আলোকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এটি বাস্তবায়ন করছে। দুটি বুনিয়াদি ভিত্তি (ভবনের ভূগর্ভস্থ অংশ) এবং ১৭ তলা ভবন বিশিষ্ট এই ইউনিটে ক্যানসারের জন্য ১৮০টি, কিডনির জন্য ১৬৫ এবং হৃদরোগের জন্য ১১৫টি শয্যা রাখার পরিকল্পনা রয়েছে।

অনুমেদিত প্রকল্পটির প্রাক্কলিত মূল্য ধরা হয় ৯২ কোটি ৭৩ লাখ ৪৯ হাজার ৫৩৬ টাকা। ঢাকার বঙ্গ বিল্ডার্স লিমিটেড নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ৮৩ কোটি ৪৬ লাখ ১৪ হাজার ৫৮২ টাকা ব্যয়ে এর নির্মাণকাজ চলছে। এই প্রকল্পটি ২৪ মাস সময়সীমা নির্ধারণ করে কার্যাদেশ দেওয়া হয় ২০২১ সালের ৩০ মে। নির্মাণাধীন জমিতে পানির স্তর উচ্চ হওয়ায় ৪০ ফিট মাটি কেটে কাজটি করাসহ মাঝে বৈশ্বিক করোনা অতিমারীর কারণে প্রকল্পের কাজ অনেকটা বিলম্বিত হয়।

প্রায় ২ বছর পর ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ফের নির্মাণকাজ শুরু হয়। এর আগে ২০২২ সালে ৯ জানুয়ারি এই সমন্বিত ক্যানসার, কিডনি ও হৃদরোগ ইউনিটটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। প্রথমে এটি ১০০ শয্যার অনুমোদিত হলেও পরবর্তিতে ৪৬০ শয্যায় উন্নিত করা হয়। এদিকে রংপুর বিভাগের সমস্ত মানুষের একমাত্র উন্নত চিকিৎসাসেবা কেন্দ্র রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। অথচ সেখানে প্রায়ই নেফ্রোলজি বিভাগে কিডনি ডায়ালাইসিসে যন্ত্র ত্রুটির কারণে ভুগতে হয় রোগীদের। সরকারি হাসপাতাল হলেও বেশি রোগী সেখানে ঠিকমতো চিকিৎসা সেবা পায় না বলেও অভিযোগ রয়েছে। হাসপাতালটির হৃদরোগ বিভাগেও রয়েছে চিকিৎসক সংকটসহ নানা অব্যবস্থাপনা।

রোগীর সাথে একের অধিক রোগীর স্বজনের দেখা মেলে বিভাগটিতে। একাধিক দর্শনার্থী প্রবেশ ও অবস্থান করা নিষেধ থাকলেও রোগীর স্বজনরা এই নিয়ম না মানায় বিড়ম্বনায় পড়তে হয় দায়িত্বরত চিকিৎসক ও নার্সদের। অথচ অত্যন্ত মুমূর্ষু অবস্থায় এ বিভাগের প্রতিটি রোগীকে ভর্তি করানো হয়।

তারা মনে করছেন, স্বাস্থ্য সেবাখাতে সরকারের বিভিন্ন সফল উদ্যোগের মধ্যে এটি রংপুর বিভাগের জন্য অনেক বড় মাইলফলক হয়ে থাকবে।

নিউজটি পোস্ট করেছেন : ডেস্ক নিউজ স্বাধীন ৭১:

কমেন্ট বক্স
খেলাধুলা ছাড়া শারীরিক ও মানসিক উন্নয়ন অসম্ভব: মেয়র ডা. শাহাদ

খেলাধুলা ছাড়া শারীরিক ও মানসিক উন্নয়ন অসম্ভব: মেয়র ডা. শাহাদ