আর মাত্র কয়েকদিন পরই তুলে নেওয়া হবে ইলিশের অভয়াশ্রম সংরক্ষণ অভিযান এর নিষেধাজ্ঞা। সারা দেশের ইলিশ অভয়াশ্রমের মতো ভোলার তজুমদ্দিনের মেঘনায় ও ইলিশ সহ সকল প্রকার মাছ শিকার করতে পারবেন জেলেরা। আর সে কারণে জেলেপল্লীতেও নেওয়া হচ্ছে পুরোদমে প্রস্তুতি।
মৎস্য অফিসের হিসেব অনুযায়ী ১মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত এ সময়টাতে ইলিশের অভয়াশ্রমে অবাধে বেড়ে ওঠার জন্য ইলিশ আহরণ,পরিবহণ ও বিক্রি সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারী করা হয়।আর এ সময় জেলেরা পুরোপুরি বেকার হয়ে পড়ে। জেলেদের এ ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সরকারীভাবে ৮০কেজি করে চাল বরাদ্ধ দেয় সরকার।
তজুমদ্দিন উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়,এ উপজেলায় মোট কার্ডধারী জেলের সংখ্যা ১৯৯২৭ হলেও চাল আসে মাত্র ১০৫৫০ জেলের নামে। এতে বাকি ৯৩৭৭ জন জেলে চাল না পেয়ে হতাশা প্রকাশ করেন। জেলেদের পক্ষ থেকে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একাধিকবার অভিযোগ দিলেও মেলেনি কোনো প্রতিকার।
আরো জানা যায়,তজুমদ্দিন উপজেলার ৫ ইউনিয়নের মধ্যে চাঁদপুর ইউনিয়নে কার্ডধারী জেলের সংখ্যা ৭৩১০ চাল আসে মাত্র ৪১৫৯ জেলের নামে,সোনাপুর ইউনিয়নে কার্ডধারী জেলের সংখ্যা ৫৬০০, চাল আসে মাত্র ২৯৮০ জেলের নামে,মলংচোড়া ইউনিয়নে কার্ডধারী জেলের সংখ্যা ১৯০০,চাল আসে ১০০০জেলের নামে, শম্ভুপুর ইউনিয়নে কার্ডধারী জেলের সংখ্যা ১৯০০,চাল আসে ১০০৮ জেলের নামে, চাঁচড়া ইউনিয়নে কার্ডধারী জেলের সংখ্যা ২৪৫০চাল আসে১৪০৩ জেলের নামে।
স্থানীয় জেলে সেলিম মাঝি,আবুল কাশেম মাঝি,ইউসুফ মাঝি,সাহেদ সহ প্রায় শতাধিক জেলে জানান,৮০কেজি চালকে দুইজনের মাঝে ভাগ করে দিলেও অনেক চাল থেকে যাওয়ার কথা কিন্তু আমরা অনেকেই এখনো চাল পাইনি ।জেলেরা ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসনি কর্মকর্তা,ইউ এনও এবং মৎস্য অফিসারের কাছে বার বার অভিযোগ জানালেও তারা নানা কারণ দেখিয়ে ফিরিয়ে দেন জেলেদের।
তজুমদ্দিন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো:আমির হোসেনের কাছে তথ্য চাইতে গেলে দেখান বিভিন্ন অযুহাত।২০২৪-২৫ অর্থবছরের অনলাইনে জেলেদের নামের তালিকা দেখতে চাইলে তিনি সেটিকে আড়াল করে,২০১৯-২০ সালের একটি পরিত্যক্ত তালিকা দেখিয়ে বলেন,এই তালিকা অনুযায়ী জেলেরা পর্যায়ক্রমে চাল পাবে।
তজুমদ্দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুভ দেবনাথ বলেন,চালের সঙ্কট রয়েছে,তবে পর্যায়ক্রমে সবাই চাল পাবে। তবে,আদৌ জেলেরা এই জেলেভাতার চাল পাবে কি না, এর সঠিক উত্তর নেই কারো কাছে।
নিউজটি পোস্ট করেছেন :
মোঃ সেলিম মিয়া