ভোলায় রোগীর মৃত্যুর পর চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগ
- প্রতিনিধির নাম :মোঃ শাখাওয়াত ভোলা জেলা প্রতিনিধিঃ- | নিউজ প্রকাশের তারিখ : Apr 20, 2025 ইং
| নিউজটি দেখেছেনঃ 1250 জন
ছবির ক্যাপশন: স্বাধীন ৭১
ভোলা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালে রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এক চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে বলে ভোলা সদর থানার ওসি আবু সাহাদাৎ মো. হাসনাইন পারভেজ জানান।
মৃত ব্যক্তির নাম মাকসুদুর রহমান (৪৪)। তিনি সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের ছোট আলগি গ্রামের বাসিন্দা।
মৃতের ছেলে নাইফুর রহমান রাফি অভিযোগ করে বলেন, “বুকের ব্যাথা নিয়ে বাবাকে দুপুরের দিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসি। তখন সেখানকার চিকিৎসক নাইমুল হাসান রোগীকে না দেখেই জুমার নামাজে চলে যান।
“পরে অবস্থা খারাপ হতে থাকলে জরুরি বিভাগে থাকা রাকিব নামে এক ব্রাদার রোগীর অক্সিজেন মাস্ক পড়ান এবং প্রেসার মাপেন। রোগীর অবস্থার আরো অবনতি হলে এক পর্যায়ে ওই ব্রাদার চিকিৎসক নাইমুল হাসানকে হাসপাতালের বাইরে থেকে ডেকে নিয়ে আসেন।
“চিকিৎসক এসে এসে প্রাথমিক অবস্থায় ইনজেকশন দেন এবং পালস চেক করে কিছু না বলেই চলে যান। পরে আমার বাবা সেখানেই মারা যান।”
রাফি বলেন, “আমার বাবার সঠিক সময় চিকিৎসা হলে তিনি হয়ত মারা যেতেন না। কিন্তু চিকিৎসক নাইমুল হাসান বাবার মৃত্যু সনদে লিখেছেন, হাসপাতালে আনার আগেই নাকি তিনি মারা গেছেন। কিন্তু আমরা তো বাবাকে জীবিত অবস্থায় জরুরি বিভাগে নিয়ে এসেছি। তাকে অক্সিজেন দিয়েছে। সঠিক সময়ে চিকিৎসক এলে এটা হত না। আমরা ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা করব।”
মাকসুদুর রহমান মারা যাওয়ার পর সেখানে তার স্বজনরা ‘চিকিৎসায় অবহেলার’ অভিযোগ এনে চিৎকার ও হট্টগোল সৃষ্টি করেন। তখন সাধারণ মানুষও সেখানে জড়ো হয়ে যায়।
তারা তখন চিকিৎসক নাইমুল হাসানকে আটকে রেখে হেনস্তা ও মারধর করে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে চিকিৎসককে উদ্ধার করে।
ভোলা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক শেখ সুফিয়ান ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, “বিষয়টি নিয়ে শনিবার সকালে বসবো। কাগজপত্র দেখে যদি চিকিৎসকের অবহেলা কোনো বিষয় থাকে তাহলে বিধি মোতাবেক যা ব্যবস্থা নিতে হয় সেটি নেওয়া হবে।”
ভোলা সদর থানার ওসি আবু সাহাদাৎ মো. হাসনাইন পারভেজ বলেন, “খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে বিক্ষুব্ধ জনতার হাত থেকে চিকিৎসককে উদ্ধার করে নিরাপদে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় মৃত রোগীর স্বজনরা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের কাছে অভিযোগ দিয়েছে। তবে থানায় এখনো কেউ অভিযোগ দেয়নি।”
এ ব্যাপারে চিকিৎসকের বক্তব্য জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
নিউজটি পোস্ট করেছেন :
মোঃ সেলিম মিয়া
কমেন্ট বক্স