ঢাকা | বঙ্গাব্দ

মনপুরায় হেনস্ত সাংবাদিক ইউপি মেম্বার কর্তৃক

  • প্রতিনিধির নাম : | নিউজ প্রকাশের তারিখ : Jun 5, 2025 ইং | নিউজটি দেখেছেনঃ 2573 জন
মনপুরায় হেনস্ত সাংবাদিক ইউপি মেম্বার কর্তৃক ছবির ক্যাপশন: স্বাধীন ৭১
ad728
ভোলা জেলার মনপুরা উপজেলার ৪ নং দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের জেলেদের ভিজিএফ কার্ডের চাউল বিতরণের ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। প্রতি কার্ডে ৮০ কেজি চাউল দেওয়ার কথা থাকলেও দেওয়া হয়েছে ৩২-৩৪ কেজি করে। গত ২৫ মে থেকে পৃথক পৃথক ভাবে ৫টি ইউনিয়নে মোট ৬৬০০ জন জেলের মধ্যে ভিজিএফ কার্ড বিতরণ করা হয়।

এরপর ১ জুন থেকে ধারাবাহিকভাবে চাউল বিতরণ শুরু হয়,প্রতিটি ইউনিয়ন এ ওয়ার্ড ভিত্তিক চাউল বিতরণ করা হয় । অভিযোগ রয়েছে যে, ৪ নং দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড এর ইউপি সদস্য ফজলুল হক লিটন হায়দার (সাহ)এর বিরুদ্ধে- প্রতি কার্ডের জন্য জেলেদের মাঝে ৮০ কেজি করে চাউল দেওয়ার কথা থাকলেও জেলের সংখ্যা বেশি হওয়ায় এক জনের চাউল দিচ্ছেন দুইজন কে। একজনের কাছে দুই জনকে দিলেও চাউল পাওয়ার কথা ৪০ কেজি করে কিন্তু তিনি দিচ্ছেন ৩২-৩৪ কেজি করে। এবিষয়ে ভুক্তভোগী কামাল অভিযোগ করে জানান আমি ৩৪ কেজি চাল পেয়েছি। মানিক ও সুরেশ একই কথা জানান ।

তারা কেউ জানে না যে প্রতি কার্ডে ৮০ কেজি করে চাল পাবে। আজ সোমবার দুপুর ১ টায় ৪ নং ইউনিয়ন এ গিয়ে দেখা যায় ৪ নং দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের মানুষ ভিজিএফ চাউল নেওয়ার জন্য সকাল থেকে সিরিয়াল ধারে দাঁড়িয়ে আছে। ফজলুল হক লিটন হায়দার (মেম্বার)দাঁড়িয়ে থেকে চার বালতি করে লোক দিয়ে চাল বিতরণ করছেন। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দা দের কাছ থেকে জানতে পারা যায় আজ লিটন মেম্বারের ওয়ার্ড এর চাউল বিতরণ করা হচ্ছে না। এবং তিনি নিজেকে ইউনিয়ন এর প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবে দাবি করে। কিন্তু তিনি দাঁড়িয়ে থেকে অন্য ওয়ার্ডের মানুষ কে চাউল দিচ্ছেন।

এবং প্রতি কার্ডের চাল ৪০ কেজির জায়গায় ৩২-৩৪ কেজি করে দিচ্ছেন। কিন্তু লিটন মেম্বার বলেন বালতি মেপে মেপে চাউল দিচ্ছেন প্রতি বালতি তে ৯ কেজি ৫০০ গ্রাম করে চাউল। তিনি চার বালতিতে ৩৮ কেজি চাউল দিচ্ছেন। কিন্তু কয়েক জনের চাউল মেপে দেখা যায় চাউল ৩২-৩৪ কেজি।
স্থানীয় বাসিন্দা’রা আরও জানান ফজলুল হক লিটন হায়দার যুবলীগের ইউনিয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক পদে নিয়োজিত আছেন অনেক বছর ধারে।
এই বিষয়ে বরিশাল প্রতিদিন পত্রিকার সাংবাদিক ৭ নং ওয়ার্ড এর মেম্বার ফজলুল হক লিটন হায়দার কে চাউল ওজনে কম দেওয়ার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন চাউল কম দেইনা। চাউল ওজন দেওয়া মিটারের ভিডিও এবং জনগণের ভিডিও দেখালে তিনি সাংবাদিক দের সাথে উত্তেজিত হয়ে যায় এবং সাংবাদিকদের কে হুমকি ধামকি দেয়।

এক পর্যায়ে পরক্ষণেই তিনি বলেন আমি চাউল ৪০ কেজি করে দেই। কিন্তু মাপের সময় ১ কেজি কম হতে পারে।
প্যানেল চেয়ারম্যান এর বিষয় টি তাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি কিছু না বলে পালিয়ে যান।
এবিষয়ে ৪ নং দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়ন প্রশাসক’কে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান , চাউল ৩৬ কেজি করে দেওয়ার কথা। কারণ এক বস্তা চাউলে ঘাটতি হয় কেয়ারিং খরচ লেভার খরচ এই কারণে চাউল ৩৬ কেজি করে দেই। কিন্তু ৩৬ কেজির কম হওয়ার কথা না। তিনি আরও জানান ফজলুল হক লিটন মেম্বার ৭ নং ওয়ার্ড এর ইউপি সদস্য। আজ তার ওয়ার্ডের চাউল দিচ্ছেনা। কিন্তু তিনি সবাইকে বলে সে ইউনিয়ন এর প্যানেল চেয়ারম্যান এর দায়িত্ব পেয়েছে। এমনকি তিনি নাগরিকত্ব সনদে ও সই করেছে অনেকেই।

নিউজটি পোস্ট করেছেন : মোহাম্মদ মাকছুদ

কমেন্ট বক্স
কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের নতুন কমিটি গঠন

কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের নতুন কমিটি গঠন