ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে সাধারণ মানুষদের কর্মস্থানে ফেরার নিমিত্তে সারাদেশে নৌবাহিনীর তদারকি অব্যাহত রয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় মনপুরা উপজেলার জনতা ঘাটে নৌবাহিনী অভিযান চালিয়েছে।
ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার এর আওতায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী দায়িত্বপ্রাপ্ত এলাকাসমূহে যৌথ অভিযান পরিচালনা করে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় ০৬ এপ্রিল ২০২৫ মনপুরার জনতা ঘাটে দুপুর ২ টা হতে বিকেল ৪ পর্যন্ত নৌবাহিনী কন্টিনজেন্ট মনপুরা ও মনপুরা থানা পুলিশ এর সমন্বয়ে ঈদ পরবর্তী সময়ে জননিরাপত্তা প্রদানের লক্ষ্যে জনতা বাজার এলাকায় যৌথ টহল ও তল্লাশি চেকপোস্ট বসিয়ে নিরাপত্তা মূলক কার্যক্রম চালায়। মনপুরার মানুষের সার্বিক নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণ জীবন যাপনের জন্য নৌবাহিনী কন্টিনজেন্ট কর্তৃক এ ধরনের বিভিন্ন রকম টহল ও নিরাপত্তা মূলক কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে নৌবাহিনী কন্টিনজেন্ট কমান্ডার জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, বর্তমান সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে 'ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার' এর আওতায় দায়িত্বপূর্ণ এলাকাসমূহে বাংলাদেশ নৌবাহিনী এর নিয়মিত যৌথ অভিযান চলমান থাকবে।
ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে সাধারণ মানুষ যেন কোন প্রকার দুর্ভোগ ব্যতিত শান্তিতে তাদের কর্মস্থলে ফিরতে পারে সেই লক্ষে এ অভিযান পরিচালিত হয়েছে বলে জানিয়েছে মনপুরা নৌবাহিনী কন্টিনজেন্ট কমান্ডার ।
সরেজমিনে দেখা যায়, রবিবার দুপুরে মনপুরা জনতা ঘাট থেকে চরফ্যাশনগামী লাইসেন্স বিহীন লঞ্চে এ গিয়ে অভিযান চলাকালে। ঘাট ইজারাদার ৪ নং দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের ০৫ নং ওয়ার্ড এর বাসিন্দা মোঃ জাকির হোসেন, পিং আক্তার উদ্দিন (মাস্টার) এর বিরুদ্ধে ঘাট খাজনার নামে অতিরিক্ত চাঁদা আদায় এর অভিযোগ।
ও লঞ্চের মালিক চরফ্যাশন পৌরসভা ০৫ নং ওয়ার্ড এর বাসিন্দা মোঃ মোরশেদ আলম অহিদ পিং শাহে আলম এর বিরুদ্ধে রেজিষ্ট্রেশন বিহীন লঞ্চ পরিচালনা, লঞ্চে লাইফ সেভিং ও ফায়ার ফাইটিং ইকুইপমেন্ট না থাকা, রুট পারমিট বিহীন লঞ্চ চালানো , অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও যাত্রীদের লাঞ্চনা করার অভিযোগ ও লঞ্চের যথাযথ ফিটনেস এর কাগজপত্র না থাকায় মনপুরা থানা, ভোলা তে মামলার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন নৌবাহিনীর কন্টিনজেন্ট।
এর পর যানবাহনে তল্লাশি ও মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য যানবাহনের যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও চলাচল নির্বিঘ্নে কাজ করতে দেখা যায় ।