ঢাকা | বঙ্গাব্দ

টাইব্রেকারে কিংসকে হারানোর আত্মবিশ্বাস আমাদের ছিলই: দলের অধিনায়ক

  • প্রতিনিধির নাম :অনলাইন ডেস্ক: | নিউজ প্রকাশের তারিখ : Apr 20, 2025 ইং | নিউজটি দেখেছেনঃ 1108 জন
টাইব্রেকারে কিংসকে হারানোর আত্মবিশ্বাস আমাদের ছিলই: দলের অধিনায়ক ছবির ক্যাপশন: নলাইন থেকে সংগ্রহ ফাইনালে ওঠার উচ্ছ্বাসে ভাসলো আবাহনী:
ad728
অতিরিক্ত সময়ের শেষ বাঁশি বাজার পরও ম্যাচের স্কোরলাইন ১-১। বসুন্ধরা কিংসের কোচ ভ্যালেরি তিতা তেকাঠির নিচে মেহেদী হাসান শ্রাবণের জায়গায় অভিজ্ঞ আনিসুর রহমান জিকোকে নামান। যেন টাইব্রেকারে তুরুপের তাস হতে পারেন কক্সবাজার থেকে আসা ফুটবলার। বিপরীতে আবাহনীর ভরসা মিতুল মারমা। শেষ পর্যন্ত ফেডারেশন কাপে জিকো ম্যাজিক চলেনি। চলেছে মিতুল শো। যদিও দুজনই একটি করে শট আটকে দিয়েছেন। তবে ম্যাচের পুরো পারফরম্যান্সের কারণে আবাহনীকে ফাইনালে তুলে মিতুলই হয়েছেন ম্যাচসেরা।

কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার আবাহনী ঢাকায় ফিরেছে আবাহনী ফুরফুরে মেজাজে। দেশের ফুটবলে বড় শক্তি কিংসকে এই মৌসুমে টানা দুইবার হারের তিক্ত স্বাদ দিয়েছে ঐতিহ্যবাহী দলটি। যা আগে কখনও হয়নি। তাও আবার বলতে গেলে ১০ জনের ভঙ্গুর শক্তির দল নিয়ে।

প্রথমার্ধে ১০ জনের দলে পরিণত আবাহনী। আগে গোল করে কিংস শেষ দিকে এসে হজমও করলো। আবাহনী সমতা এনে অতিরিক্ত সময়ে তা ধরে রাখলো। শ্বাসরুদ্ধকর টাইব্রেকারে তো মিতুল একটি শট ঠেকিয়ে দিলেন। আর ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার শট মারলেন ওপর দিয়ে। তাতেই কিংসের যা সর্বনাশ হওয়ার কথা, তা-ই হয়েছে। ম্যাচসেরা মিতুল তাই ঢাকায় আসতে আসতে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘আমাদের সবার মধ্যে কমিটমেন্ট ছিল যে করেই হোক ম্যাচ জিততে হবে। এমনকি একজন কমে গেলেও মনোবল হারাইনি। শেষ পর্যন্ত লড়াই করে গেছে। সে ফল পেয়েছি আমরা। তাই সবাই বেশ খুশি।

মিতুল নিজে কিংসের রাকিব-ফাহিমদের শট আটকে গোল হতে দেননি। এরপর টাইব্রেকারেও নিজের মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন। এখন পর্যন্ত মৌসুমে মাত্র দুটি গোল হজম করেছেন মিতুল। নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে বলতে গিয়ে তিনি জানালেন, ‘সবাই যার যার জায়গা থেকে সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। আমিও তা-ই করেছি। তেকাঠির নিচে সব সময় সজাগ ছিলাম। তাই শেষ পর্যন্ত ভাগ্য আমাদের সহায় ছিল। ম্যাচ জিতে ফাইনালে গিয়েছি।
:::::::::::::টাইব্রেকারে জিতেছে আবাহনী:::::::::::::

তবে কিংসের বিপক্ষে নির্ধারিত সময়ে গোল হজম নিয়ে মিতুলের ব্যাখ্যা, ‘ওটা ডিফেন্ডারদের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির কারণে হয়েছে, যা পরবর্তীতে সামলে নিয়েছি। আশা করছি এমনটি আর হবে না। ফাইনালে আমরা ট্রফি নিয়েই উৎসব করতে পারবো।

শুধু আবাহনী নয়, জাতীয় দলেও মিতুল কোচের এক নম্বর পছন্দ। তার প্রতিদান বুঝি আজও দেখা গেলো। এমন পারফরম্যান্স ধরে রেখে সামনে এগিয়ে চলার পণ রাঙামাটির ফুটবলারের। পরিশ্রমের পর সাফল্যই যার মূলমন্ত্র।

নিউজটি পোস্ট করেছেন : ডেস্ক নিউজ স্বাধীন ৭১:

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
মনপুরা জনতা বাজার লঞ্চ ঘাটে বেপরোয়া অনিয়ম, নৌবাহিনী ও পুলিশে

মনপুরা জনতা বাজার লঞ্চ ঘাটে বেপরোয়া অনিয়ম, নৌবাহিনী ও পুলিশে