মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম বদলে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা করা হয়েছে। সাংস্কৃতিক দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে এটা জুলাইয়ের এক প্রাথমিক বিজয়।
তবে শোভাযাত্রাকে সার্বজনীন করার জন্য যে প্রতীকগুলো সরানোর দাবি উঠেছিলো, সম্ভবত সেগুলো সব সরানো হয়নি। তবে ভবিষ্যতে ধীরেধীরে সেটাও সম্ভব হবে বলে আশা করি।
শোভাযাত্রা থেকে 'মঙ্গল' বাদ দেয়ায় দি'ল্লির তাঁবেদার ও ফ্যাসিবাদের দোসররা আরবান মিডল ক্লাসের ছায়ানট, উদিচিদেরকে সাথে নিয়ে জুলাই পরবর্তী বর্ষবরণকে ব্যর্থ হিশাবে পোট্রে করবার চেষ্টা করবে।
তাই শোভাযাত্রার বিভিন্ন সিম্বল নিয়ে আমাদের আপত্তি ও সমালোচনা জারি রেখেই জুলাইয়ের প্রয়োজনে আমরা এবারের বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রায় অংশ গ্রহণ করবো।
একই সাথে বৈশাখ নিয়ে চারুকলার একক সাংস্কৃতিক মাস্তানির অবসান ঘটাতে হবে। বিভিন্ন মত ও পথের সকল জনগোষ্ঠীকে তাদের নিজেদের মতো করে বৈশাখ উদযাপনের স্বীকৃতি দিতে হবে।
তাই নববর্ষে আমাদের নিজেদের আয়োজনও থাকবে। পহেলা বৈশাখের বিকালে আমরা ইনকিলাব মঞ্চের পক্ষ থেকে শাহবাগ থেকে নববর্ষের আনন্দ র্যালি বের করবো।
যেখানে আবহমান বাংলার অকৃত্রিম একটা মায়াবী ছবি ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করবো আমরা।