বগুড়ায় আল-জামিয়াতুল আরাবিয়া লিল-বানাত হযরত ফাতেমা রাযিঃ চকলোকমান মহিলা মাদ্রাসা’র (ও এতিম খানা) মহাপরিচালক মাওঃ আছাফুদ্দৌলা মুকাররম এর পদত্যাগের দাবীতে বৃহস্পতিবার মাদ্রাসা চত্বরে অবস্থান ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্রীরা।
এ সময় ওই মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা (ছাত্রীরা) মাওঃ আছাফুদ্দৌলা মুকাররম এর বিরুদ্ধে নানা ধরনের শ্লোগান দিতে থাকে। শিক্ষার্থীরা সকল শিক্ষকদেরকে রুমে তালা বদ্ধ করে রেখে সকাল সাড়ে ৯টায় থেকে তাদের আন্দোলন শুরু করে। খবর পেয়ে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে শিক্ষার্থীদের অবস্থান ও বিক্ষোভ বন্ধ বা স্থগিদ করতে বললে তারা আরো উত্তেজিত হয়ে বলে আগে আমাদের দাবী মানতে হবে।
এর পর পুলিশ শিক্ষকদের সাথে কথা বলতে চাইলে রুমে তালাবদ্ধ অবস্থায় থাকা শিক্ষকদেরকে বের করে নিয়ে আসে শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাথে পুলিশ কথা বলেও কোন সুরহা বা সমাধান না হওয়ায় তারা আন্দোলন অব্যাহত রাখে। ঘটনার প্রেক্ষিতে কিছু অভিভাবক ও এলাকাবাসির মধ্যেও চাপা ক্ষোভ উত্তেজনা বিরাজ করছে। সর্বশেষ শিক্ষকদের আহবানে বিকেল সাড়ে ৪টায় শিক্ষার্থীরা অবস্থান ও বিক্ষোভ আপাতত স্থগিদ করেছে।
এ বিষয়ে মাদ্রাসা’র মহাপরিচালক মাওঃ আছাফুদ্দৌলা মুকাররম এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, মহান আল্লাহ তায়ালার রহমতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে আমার বাবা পরে আমি মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠিত করেছি। এখন আমার পদত্যাগ করতে হলে আগে কমিটি করা হোক পরে পদত্যাগ করবো।
মাদ্রাসা’র নির্বাহী পরিচালক হাফেজ মাওঃ আবু তালহা জানান, মাদ্রাসার কিছু অনিয়মের কারনে বিগত ৫ বছর আগে ছাত্রীরা আন্দোলন করে আমাকে মাদ্রাসায় নিয়ে আসে। এর পর থেকে আল্লাহ তায়ালার রহমতে ও সকলের সহযোগিতায় মাদ্রাসা’র নানামুখী উন্নয়ন করা হয় এবং চলমান রয়েছে।
বর্তমানে প্রায় ৮ শত ছাত্রী রয়েছে। এ কারনে আমার এবং মাদ্রাসার বিরুদ্ধে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করা হয় এবং হচ্ছে।
এ ছাড়া বহিরাগতদেরকেও লেলিয়ে দেয়া হয়। মুলত এর প্রেক্ষিতে ছাত্রীরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং বিক্ষোভ করে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে শারমিন, লুবাবা, খাতিজা, সুমাইয়া, মরিয়ম, ফাতেমা, কুলসুম, হাফছা, আয়শাসহ আরো অনেকে জানান, আবু তালহা হুজুর দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে মাদ্রাসা’র উন্নয়ন চলছেই এবং শিক্ষার মানও বৃদ্ধি পেয়েছে।