সেশনজট নিরসনসহ ১০ দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সমাজকল্যাণ বিভাগের শিক্ষার্থীরা। শনিবার (১১ জানুয়ারি) সকাল ৯ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে এ কর্মসূচি করে তারা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন লেখা সংবলিত প্লেকার্ড প্রদর্শন করে শ্লোগান দিতে থাকেন। এসময় তারা 'শিক্ষক নিয়ে তালবাহানা, আর না আর না; অন্য বিভাগ স্বর্গে, আমরা কেন মর্গে; অন্য বিভাগ ৪ বছরে, আমরা কেন ৭ বছরে; আজকেই চাই সমাধান, সেশনজটের অবসান; ক্লাসরুম ছাড়া ক্লাস, আর না আর না; শিক্ষকদের রোষানলে, আর না আর না; পরীক্ষা কেন ধীরগতি, কি করেন সভাপতি'সহ বিভিন্ন শ্লোগান দেয়।
বিভাগের সংষ্কারে তাদের বাকি দাবিগুলো হলো- নির্দিষ্ট রুটিন প্রনয়ণ করে প্রতিটি কোর্সের নূন্যতম ক্লাস নিতে হবে, সেশনজট নিরসনে তিন মাসের মধ্য সেমিস্টারের যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে, পর্যাপ্ত শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া এবং শিক্ষক নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত গেস্ট টিচার দ্বারা ক্লাস নিতে হবে, পর্যাপ্ত ক্লাসরুমের ব্যবস্থা করা, সেমিনার লাইব্রেরী বরাদ্দ দেওয়া, ইনকোর্স সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার পরে নিতে হবে এবং নম্বর প্রদান করতে হবে, ট্রেজারার অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলমকে বিভাগের সার্বিক তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব দিতে হবে, আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্য পুর্নাঙ্গ একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ করতে হবে, প্রতি বছর বিভাগ থেকে শিক্ষা সফরে যেতে হবে এবং আন্দোলনের পরবর্তী প্রভাব কোনো শিক্ষার্থীর উপর কে যেন না পড়ে সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের প্রতি বছর একটি করে সেমিস্টার পরীক্ষা নেওয়া হয়। সেমিস্টার শেষে রেজাল্ট প্রকাশ করতে ৭/৮ মাস লেগে যায়। আমাদের বিভাগে বর্তমানে ৭ টি ব্যাচের ক্লাস পরীক্ষা চলমান। কিন্তু তাদের বিপরীতে মাত্র ১ টি ক্লাসেরুম এবং ৩ জন শিক্ষক রয়েছে। আম্তের ঠিক মতো ক্লাস পরীক্ষা হয় না। ফলে আমরা দীর্ঘ সেশনজটে পড়ে আছি।
এ বিষয়ে বিভাগের সভাপতি আসমা সাদিয়া রুনা বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে আলোচনা করতেছি। আলোচনা শেষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।