ঝালকাঠির কীর্তিপাশা মোড়ে সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী সুলতান হোসেন খানের ওপর হামলা করেছে দুর্বৃত্তরা এবং তার গাড়িও ভাঙচুর করা হয়েছে বলে জানা যায়। গত ১৪ই মে মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে এক পথসভায় এলাকার কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এ হামলা চালায়।
এ সময় সেখানে উপস্থিত থাকা দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার সাংবাদিক শফিউল ইসলাম সৈকত চেয়ারের আঘাতে গুরুতর আহত হন এবং তার মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় হামলাকারী দুর্বৃত্তরা। এবং একজন সাংবাদিকের ক্যামেরা ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এ ঘটনায় প্রার্থী সুলতান হোসেন খানসহ আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২০ জন। উক্ত ঘটনার খবর পেয়ে ঝালকাঠির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ঘটনাস্থলে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় আহতদেরকে পুলিশ পাহারায় ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ঝালকাঠি সদর উপজেলা নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী সুলতান হোসেন খানের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. নাইম বলেন, আহত সুলতান হোসেনের বাঁ কাঁধে গুরুতর আঘাত লেগেছে। এ ছাড়া মাথা ও জয়েন্টে আঘাতের কারণে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালে শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
ঝালকাঠি সদর উপজেলা নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী সুলতান হোসেনের কর্মীরা বলেন, ঘটনাস্থলে একটি নির্বাচনি পথসভা চলছিল। হঠাৎ নির্বাচনি প্রতিদ্বন্দ্বী অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী আরিফ খানের সমর্থকরা আমাদের ওপর হামলা চালায়। প্রথমে মারধর করা হয় সুলতান ভাইকে। এরপর চেয়ার দিয়ে বেধড়ক পিটুনি শুরু করে হামলাকারীরা। চেয়ার ও লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে উপস্থিত সাংবাদিকসহ আমাদের কমপক্ষে ২০ জনকে আহত করে। খবর পেয়ে পুলিশ না আসলে আরও অনেকে আহত হতো।
ঘটনাস্থলে সাংবাদিকরা বলেন, প্রায় অর্ধ শতাধিক হামলাকারী আকস্মিক ঘটনাস্থলে এসে আমাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। এ সময় চেয়ারম্যান প্রার্থী সুলতান হোসেন খানকে তারা বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেছে।
তাছাড়া এর আগে ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের পূর্ব বিন্নাপাড়া ওয়ার্ডের সুলতান হোসেন খানের নির্বাচনি অফিস ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা।
এ বিষয়ে ঝালকাঠির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মহিতুল ইসলাম জানান, প্রার্থী সুলতান হোসেন খানের পথসভায় হামলার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তিনি আহত হওয়ায় পুলিশের সহায়তা তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলেই মামলা এবং ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অন্যদিকে, অভিযোগ অস্বীকার করে খান আরিফুর রহমান বলেন, কারা এ হামলা করেছে তা আমি জানি না। আমি সেখানে ছিলাম না।