পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলাধীন অধিকাংশ মাধ্যমিক বিদ্যালয় গুলোতে অনিয়মিত শ্রেণী পাঠদান, শ্রেণী শিক্ষকের সংকট, অদক্ষ শিক্ষক, অসামঞ্জস্য শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে চলছে পাঠ আলোচনা সরেজমিন পর্যবেক্ষনে চাটমোহর উপজেলার বেশিরভাগ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসাগুলোর এই অবস্থায় শিক্ষার্থীদের শিক্ষা গ্রহনে অনেকটাই ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে, শিক্ষা ব্যবস্থায় নাজুক পরিস্থিতি বিরাজ করছে নিম্নোক্ত সমস্যা গুলো যথারীতি বিদ্যমান রয়েছে।
১। বিদ্যালয়ে নির্দিষ্ট কোন ক্লাস রুটিন পাওয়া দুস্কর।
২। রুটিন তৈরি করতে করতে মে-জুন মাস পার হয়ে যায়।
৩।পর্যাপ্ত শ্রেণী কক্ষের ও শিক্ষকের অভাব।
৪। প্রতিষ্ঠানের ক্লাসের সময়সূচী সকাল ১০:০০- বিকেল ৪:০০ টা পর্যন্ত কিন্তু ক্লাস চলে সকাল এগারটা থেকে দুপর এক টা বা দুই টা পর্যন্ত।
৫। শিক্ষকদের প্রতিষ্ঠানে সকাল দশ টার আগে আসার নিয়ম থাকলেও বেশিরভাগ শিক্ষকই আসেন সকাল দশ টার পর প্রতিষ্ঠান ছুটি বিকেল চার টা তার পর যাওয়ার নিয়ম থাকলেও তারা তা মানেন না ।
৬। প্রতিটি ক্লাস শেষ হওয়ার পর পরবর্তী ক্লাস ২-৫ মিনিটের মধ্যে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও শিক্ষকরা শ্রেনী কক্ষে প্রবেশ করেন পনের-বিশ মিনিট পর।
(অফিস রুমে বসে গল্প, চা, পান করতেই সময় পার করেন )
৭। ছাত্রদের সামনেই শিক্ষকরা ধুমপান করে থাকেন।
৮। প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক স্বল্পতা থাকা স্বত্ত্বেও শিক্ষক চাহিদা না প্রেরণ করা (প্রতিষ্ঠান কমিটির যোগসাজসে)
৯। প্রতিষ্ঠানে ছাত্ররা মাদকাসক্ত হওয়ার বিষয় জানা স্বত্তেও শিক্ষক মন্ডলী বা কর্তৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ নেন না।
১০। এসএসসি পরীক্ষার মার্কশীট, সার্টিফিকেট বিনামূলে সরকার স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানে প্রেরণ করলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে মার্কশীট, সার্টিফিকেটের জন্য (২০০-৫০০) টাকা প্রশংসা পত্রের জন্য (৩০০-১০০০) টাকা পর্যন্ত আদায় করে থাকেন।
এছাড়াও প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা ও মাসিক বেতন, বিদ্যুৎ বিলের চাঁদা, ফ্যান কেনার চাঁদা, বৈদ্যুতিক লাইন মেরামতের টাকা গ্রহন সহ নানাবিধ অনিয়মে জর্জরিত ।
সমস্যা সমাধানে যারা এগিয়ে আসবেন তারা নিজেরাও দুর্নীতিগ্রস্থ। সঠিক দেখ ভাল আর পরিচালনার অভাবে ভঙ্গুর হয়ে পড়ছে চাটমোহর উপজেলার শিক্ষা ব্যবস্থা।
আস্থা হারাচ্ছে শিক্ষার্থীরা ও অভিভাবকরা।
চাটমোহর উপজেলাবাসীরা চাই এ সকল সমস্যার দ্রুত সমাধান হোক এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।