শীতকালে দুইটি খাবার থেকে ছড়িয়ে পড়ছে মর' ণব্যাধি এই নিপা ভাইরাস, বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ভাইরাসে পরিবারের একজন আক্রান্ত হলে, পুরো পরিবার এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে, তাই কঠিন সতর্কবার্তা দিচ্ছে ভাইরাস গবেষক টিমরা।
কারণ এই ভাইরাসটি যাকে আক্রমণ করবে তার মৃত্যুর সম্ভাবনা থাকে ৯০ ভাগের ও বেশি, এই ভাইরাসটি একটি প্রাণীবাহিত রোগ যা বাদুড় থেকে মানুষ সংক্রমিত হয়। ২০০১ সালে ইন্দোনেশিয়ার এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার পর রোগটি শনাক্ত করা হয় - প্রতেবেশি দেশ ভারতেও এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে খবর পাওয়া যায়, সেগুলো হলো শিলিগুড়িতে ২০০১ সালে, নদীয়ায় ২০০৭ এবং কেরেলায় ২০১৮ সালে, এই সময় গুলোতে এই ভাইরাসের মোট ৬৭ জন আক্রান্ত হলে তাদের মধ্যে ৪৬ জনই, মারা যায়,, সে সময় এই ভাইরাসের উৎস সনাক্ত করতে না পারলেও, গবেষকরা এটা সনাক্ত করেন যে, এই ভাইরাস ছোঁয়াচে সংক্রমিত, মানুষ থেকে মানুষের ছড়াতে পারে, এভাবেই ফিলিপাইন এই ভাইরাসে ১৭ জন আক্রান্ত হলে সেখানে ১১ জন মৃত্যু বরণ করে।
এছাড়া বাংলাদেশে ২০০১ সালে প্রথম, নিপা ভাইরাসের তথ্য পাওয়া গেলেও, শনাক্ত করা হয় ২০০৪ সালে, তখন থেকে শুরু করে এখন পযন্ত, নিপা প্রাদুর্ভাবে খবর পাওয়া যাচ্ছে মোট ৩০৩ জন, নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর মধ্যে ২১১ জনের মৃত্যু ঘটেছে মূলত আমাদের এই বাংলাদেশে এই রোগ ছড়াতে পারে খেজুরের রস পানের মাধ্যমে শীতের সময় রস খুবই জনপ্রিয় একটি পানীয়। শীতকালে রস, আহরণের জন্য গাছের কান্ডে, একদম উপরের দিকে খানিকটা অংশ চেচে সেখানে সারারাত হাড়ি ঝুলিয়ে রাখা হয়, তখন বাদুড় হাঁড়ি থেকে রস চাটছে বা গাছের কাটা অংশে মুখ দিচ্ছে অথবা মধ্যে প্রস্রাব করছে।
হাঁড়ির বাইরের অংশ থেকে কিছু সেম্পল গ্রহণ করে বিশেষ, সি. আরের মাধ্যমে নিপা ভাইরাসের, আর, এন,এ জেনেটিক করে প্রমাণ নিশ্চিতভাবে শনাক্ত করা গেছে, এ থেকেই ধারণা করা হয় বাদুড় এই রোগ সংক্রমণের প্রধান উৎস। নেশা জাতীয় পানিয় তারই ও নিপা ভাইরাসের সংক্রমণের মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। মানুষ থেকে মানুষ নিপার সংক্রমণে আরেকটি হলো- দেহ রসের সংস্পর্শে আসা, বাংলাদেশে হওয়া বেশিরভাগ প্রাদুর্ভাব গুলোই দেখা গেছে শীতের সময়।