ঢাকা | বঙ্গাব্দ

কিশোরগঞ্জে সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল দালাল চক্রের হাতে জিম্মি

  • আপলোড তারিখঃ 18-03-2024 ইং |
  • নিউজটি দেখেছেনঃ 294534 জন
কিশোরগঞ্জে সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল দালাল চক্রের হাতে জিম্মি ছবির ক্যাপশন: স্বাধীন একাত্তর
LaraTemplate

কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ,থেকে দালাল চক্র রোগী ও তার আত্মীয়-স্বজনদের  বুলিয়ে নিয়ে যায় বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টার ।



আজ সোমবার (১৮ মার্চ ২০২৪) এসব বিষয় নিয়ে যখন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সরজমিনে অনুসন্ধান করতে যায়, অনেক বাধার সম্মুখীন হতে হয় । দেখা গেছে ইমারজেন্সি কোন রোগী নিয়ে আসলে। মেডিকেল ইমারজেন্সি ডোর থেকে দালাল চক্ররা জোরপূর্বভাবে রোগী নিয়ে চলে যায় বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে।


আমরা যখন সম্মুখীন হই দালাল চক্রে সদস্য দের সামনে  ।আমাদের হুমকি প্রদর্শন করে । যখন জিজ্ঞাসা করি তাদের এই নিয়ম আছে কিনা। ইমারজেন্সি ডোর থেকে তারা কিভাবে রোগী বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে  যায়। তারা বলে এখানে নিয়মের কোন বিষয় না ।যার ক্ষমতা আছে সেই রোগী নিয়ে যায় এটাতে আপনাদের কোন সমস্যা আছে। ইমারজেন্সি ডোরে কর্মরত আনসার সদস্য এ বিষয়ে মুখ খুলতে রাজি নয়। কথায়  আছে না অতি ভক্তি চোরের লক্ষণ। সেটাই হয়েছে ওই আনসার সদস্য সাথে। দুর্ভাগ্য ক্রমে ইমারজেন্সি পাশে কর্মরত আনসার সদস্যের নেমপ্লেট টি ছিল না । 


উক্ত মেডিকেলে পরীক্ষা চলাকালীন সময় ৪তলায় পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ডে দেখা গেছে এক মহিলা দালাল (ফরিদা আক্তার) নাম পরিচয় অনিচ্ছুক ,রোগীর ব্লাড সেম্পল সংরক্ষণ করে পরীক্ষার জন্য নিয়ে যায় দ্যা রেডিয়ান ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। বিভিন্ন তথ্য ও সূত্র জানা যায়, ফরিদা আক্তার নামে দালাল মেয়েটি দীর্ঘ আড়াই বছর যাবত এই পেশা করে আসছে। এসব দালালদের দৌড়াতে মেডিকেলে যখন এই অবস্থা আমরা তখন. মেডিকেল পরিচালক ডা হেলাল উদ্দিন  সাথে কথা বলি । তিনি আমাদের বলে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশে আমরা ২৪ ঘন্টা পরীক্ষা-নিরীক্ষা মেডিকেলেই করে থাকি। এবং আমাদের মেডিকেল ১০ নম্বরই রয়েছে আশা করি আমরা অতি শীঘ্রই ৫ নম্বরে চলে আসবে। আমরা অনেকটাই তৎপর রয়েছি এই দালাল চক্রের বিরুদ্ধে। আপনি যেহেতু এসব নির্দিষ্ট প্রমাণ নিয়ে আমার কাছে আসছেন, আমরা অতি দ্রুতই এসব দালাল চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করব।

আমরা আরেকটি বিষয় তার কাছে অবগতি করি ইমারজেন্সিতে ডিউটিতে থাকা আনসার সদস্য তার নেমপ্লেট নেই । এবং তিনি আমাদের ইমার্জেন্সিতে ঢুকতে বাধা বিঘ্নতা ঘটায়। তিনি আমাদের জানাই, এই আনসার সদস্যের বিরুদ্ধে আরো অনেক অভিযোগ এসেছে। আমরা এ বিষয়টি তদন্ত করে দেখব। সেও যদি দালাল চক্রের সাথে জড়িত হয়, আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।


আমরা ও আশাবাদী দেখা যাক আসলেই কি দেশের প্রত্যেকটি সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল দালাল মুক্ত হয় কিনা।


নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ সাইফুল ইসলাম সানি

সর্বশেষ সংবাদ
notebook

কয়রার দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীর সহযোগিতায় জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন