গত ২৮ নভেম্বর অনুমানিক রাত ১:১০ঘটিকার সময় ঢাকা আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেফার করা হয়েছে।
গ্রেফতারের পর আজ( ২৮ নভেম্বর) সকাল ৯ টায় পাইগাছা থানায় তাকে হস্তান্তর করা হয়েছে।কপিলমুনি বিএনপির করা মামলায় তাকে গ্রেফাতর দেখানো হয়েছে বলে জানা তথ্যসূ্ত্রে।যাহার মামলা নং ০৮/১২০ তাং২৬/০৮/২৪।
গত ৫ আগষ্ট আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর থেকে বাহারুল পলাতক ছিল।
বাহারুল ছিল আওয়ামী সরকারের একজন দোষর।
আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন তিনি অঢেল সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলে ছিল।
এই বাহারুলের কি ছিল তা কয়রাবাসীর সবার জানা ছিল।তার বাবা ফজর সানা ছিলো সামান্য একজন আমিন।প্রথমদিকে, তাদের সম্পত্তির পরিমান ছিল সামান্য তিন বিঘা জমি।
বাহারুল এক সময় উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি থাকাকালীন সংগঠনের নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন অপকর্মের সাথে লিপ্ত হয়েছে জমিদখল,ঘেরবেড়ীদখল,খালদখল,চাঁদাবাজী,নারী অপহরন, সন্দুরবনে বনদসদ্যু চালানো সহ সকল প্রকার অপকর্মের সাথে সে জড়িত ছিল। এই বাহারুল ছিল ক্ষমতা ও অর্থলোভী ব্যক্তি।টাকা ও ক্ষমতা ছিল তার কাছে জীবনের মূল অংশ।তার বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে কয়রা উত্তরচক মাদ্রাসার শিক্ষক নির্যাতনের মামলা রয়েছে।
আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের দোষর বাহারুল গত ইউনিয়ন নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনয়নে দলীয় নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে।এই নির্বাচনে টাকা ও ক্ষমতার জোরে রাতের আধারে ব্যালট বক্স ছিনতায় করে জাল ভোটের মাধ্যমে কয়রা সদরের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়।তখন থেকে বাহারুলের অপকর্ম আর দিগুন হতে থাকে।
নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় বসার পর ইউনিয়ন পরিষদের তহবিলে আসা বিভিন্ন সামগ্রী,সরকারী বাজেটের টাকা পয়সা অসহায়, গবীর,দুঃখী মানুষকে না দিয়ে কিছু অংশ নিজস্ব আত্মীয়স্বজনকে দিয়ে বেশির ভাগটাই নিয়ে নিজের পকেটে ভর্তি করত।চেয়ারম্যান থাকাকালীন অবস্থায় ও তার নামে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যায়।
সে ইউনিয় পরিষদে আসা সরকারী পানির ট্যাংক দেওয়ার কথা বলে গরীব অসহায় মানুষের কাছ থেকে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় এবং বিভিন্ন এনজিও ও প্রকল্প থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়। বাহারুল ও তার বাবা বহু মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে অন্যের জমির পাওয়ার নামা নেয়। পরে পাওয়ার নামাকৃত সেই জমি নিজেদের নামে রেজ্রিস্টী করে নেয়।
এভাবে কয়রা বাজারে বহু গরীব অসহায় মানুষের সম্পত্তি তারা বাবা ও ছেলে মিলে দখল করে নেয়।এই বাহারুল অন্যের জায়গা দখল করে কয়রা কপোতাক্ষ কলেজের সামনে গড়ে তুলে পাঁচতলা বিশিষ্ট বাদশা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার।বাহারুল কয়রায় শেখ রাসেল প্রতিবন্ধী স্কুল প্রতিষ্ঠা করে সেখানে চাকুরী দেওয়ার কথা বলে বহু মানুষের থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিছে।বিশেষ সূত্র আর জানা যায় সে অবৈধ পথে বহু টাকা পয়সা এবং স্থাবর ও অস্থাবর বহু জায়গা জমির মালিক হয়েছে ।