ঢাকা | বঙ্গাব্দ

হত্যার সাত বছর পেরিয়ে গেলেও মূল রহস্য উদঘাটন হয়নি গৃহবধূ রুমার

  • আপলোড তারিখঃ 13-11-2024 ইং |
  • নিউজটি দেখেছেনঃ 100527 জন
হত্যার  সাত বছর পেরিয়ে গেলেও মূল রহস্য  উদঘাটন হয়নি গৃহবধূ রুমার ছবির ক্যাপশন: স্বাধীন ৭১
LaraTemplate

ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের পাতা ভেদুরিয়া গ্রামের ৮ নং ওয়ার্ড গৃহবধূ রুমা হত্যার অভিযোগ ভোলা সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে, ১৭/৩/২০১৭ ইং তারিখ,খুনের সাত বছর পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত উদঘাটন হয়নি মূল রহস্য।


রুমা হত্যা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চলক সৃষ্টি হয়েছে। মামলা ও নিহত পারিবারিক সূএে জানা গেছে ওই এলাকার  আবদুল ওয়াদুদ  ছ মিলকার ছেলে লিটন এর সাথে  ১২ বছর পূর্বে ইলিশা গুপ্ত  মুন্সি মোহাম্মদ ওয়াদুদ হাওলাদারের মেয়ে রুমা আক্তার কে বিয়ে করে।


বিয়ের  পরবিওলোভী  লিটন ও তার পরিবারের লোকজন  রুমাকে  বড় অংকের যৌতুকের টাকার জন্য চাপ সৃষ্টি করে, টাকার বিষয় রুমা  তার বাবাকে  জানালে মেয়ে সুখের জন্য রুমার বাবা জামাই লিটন ও তার মেয়ে কে এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা খরচ করে একটি টিনের ঘর তৈরি করে দেয়। 


ঘর করার কিছুদিন যেতে না যেতে বেকারত্ব মাদক সেবনকারী লিটন বিদেশ যাবার কথা বলে রুমার বাবার কাছ থেকে আবার নগদ ৫০০০০/- হাজার টাকা যৌতুক দাবি করে, মেয়ের সুখের কথা দাবি করে অন্যের কাছ থেকে জমি বন্ধক রেখে ৫০০০০/- হাজার দেন।বিদেশ যাওয়ার কয়েক মাস পূর্বে লিটন বিদেশ থেকে এসে টাকার গরমে স্ত্রী রুমা ও বাচ্চা কে  রেখে নাসিমা নামের এক মেয়ের  প্রেমে পড়ে বিদেশী কামানো সকল টাকা পয়সা নষ্ট করে ফেলে।


এরপর লিটন রুমার কাছে আবার কৌতুক দাবি করে যৌতুকের টাকা অস্বীকার করলেই নাটকীয়ভাবে তোমাকে মারধর করে এ বিষয়টি রুমার বাবা  ও তার ফুফু মমতাজ বেগম জানতে পারলে রোমার স্বামী মোহাম্মদ লিটন মেলকার এর সাথে যোগাযোগ করলে ক্ষিপ্ত হয়ে রুমাকে মেরে ফেলে বলে অভিযোগ করেন মৃত রুমার ফুপু। 


মৃত রুমার ফুফু সাংবাদিকদের কে আরো জানান রুমার মৃত্যুর পরে রুমার মা মোসাম্মৎ ফাতেমা বাদী হয়ে মো: লিটন সহ ৮ জন কে আসামি করে  একটি মামলা দায়ের করে যাহার নাম্বার জি আর ১২৮/২০১৭ মামলা  করার কিছুদিন পরেই বাদী মোসাম্মৎ ফাতেমা আসামিপক্ষ মোহাম্মদ লিটন এর সাথে মোটা অংকের টাকা লেনদেন করে।


মামলা থেকে অব্যাহত নিতে চান, এই খবর মৃত রুমা আক্তারের ফুপু জানতে পেরে ফাতেমার সাথে যোগাযোগ করে একটি নোটারি পাবলিক হলফনামা তৈরি করেন, হলফনামা লিখিত আছে যে মোসাম্মৎ ফাতেমা মৃত রুমা আক্তারের ফুফুকে মামলা চালানোর  পাওয়ার দিয়ে দেন। আসামিগণ দোষী সাব্যস্ত হলে পুলিশ ১ থেকে ৪ পর্যন্ত আসামীকে আটক করে।


আটকের পরিপ্রেক্ষিতে তারা জামিনে বের হয়ে বাদী মমতাজ বেগমের উপর ক্ষীপ্ত হয়ে আইনের বিভিন্ন যায়গায়  টাকা দিয়ে মামলাটি প্রত্যাখ্যান করতে চাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন মৃত রুমার ফুপু ও রুমার বাবা ওদুদ হাওলাদার। তদন্তকারী কর্মকর্তা গত ২৮-৭-২০১৭ তারিখে দাখিলেয় অভিযোগ পত্র


 পক্ষপাত দুষ্ট  নিরপেক্ষ না হওয়ায় আসামীপক্ষ দ্বারা প্রভাবিত হইয়া উক্ত অভিযোগ পত্র প্রস্তুত করার উহা  যোগ্য নহে।তদন্তকারী কর্মকর্তা ময়না তদন্ত  প্রতিবেদনে ডাক্তারের the cause ofdeath was due toasphyxia as a result of suffocation which was antemortem and homicidal in nature মর্মে তার মতামত পর্যালোচনা না করিয়া অভিযোগপত্র প্রণয়ন করিয়াছেন, উক্ত মতামতে ডাক্তার মৃত্যুর কারণ শ্বসরোধের কারণ শ্বাসবন্দ হওয়া যাহার কারণে মৃত্যু এবং উক্ত  মৃত্যু  মানুষের দ্বারা মানুষের হত্যা।


কিন্তু তদন্তকারী  কর্মকর্তা উক্ত মতামত পর্যালোচনা না করিয়া অভিযোগপত্র দাখিল করেন বিদায় অভিযোগপত্র গ্রহণযোগ্য হতে পারে না  বলে মনে করেন ভুক্তভোগী পরিবার। তাই সঠিক তদন্তের  মাধ্যমে দোষীদেরকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছেন মৃত রুম আক্তারের ফুপু ও তার বাবা ওদুদ হাওলাদার। 


মৃত্যুর বিষয় রুমার মামানি মান সুরার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি অনুসন্ধান প্রতিদিন কে জানান, মৃত্যুর দিন আমি রুমার ছেলের ডাক চিৎকার শুনে ঘটনা স্থানে গেলে দেখতে পাই রুমার গলায় ফাঁস দেওয়া মৃত অবস্থায় তখন আমি ডাক চিৎকার করে অজ্ঞান হয়ে পড়ি।মৃতর বিষয় একটি মামলা দায়ের করা হয় সেখানে আমাকে এক নাম্বার সাক্ষী দেওয়া হয়, আমি আদালতে জবানবন্দী দেওয়ার সময় আসামিপক্ষ আমাকে বিভিন্ন প্রকার ভয় দেখিয়ে মিথ্যা সাক্ষী দিয়েছে, এবং সে সময় আমাকে জিজ্ঞেস করছে আমি আসামীদেরকে  চিনি কিনা তখন আমি উত্তরে বলেছিলাম না আমি তাদেরকে চিনি না আসলে বিষয়টি হলো সেদিন আমার মন মানসিকতা ভালো ছিল না আমার মা অসুস্থ ছিল, এবং আসামি পক্ষ আমাকে বিভিন্ন প্রকার ভয়-ভীতি দেখিয়ে এ ধরনের কথা বলিয়েছে, সকল আসামি আমার বাড়ির পাশের আমি তাদেরকে চিনি এটাই সত্য। আমার ননদের মেয়ে রুমার স্বামী ও তার ভাইরা এ মামলার আসামি আমি চাই সঠিক তদন্তের  মাধ্যমে পূর্ণরাই আসামিদেরকে আইনের আওতায় এনে  কঠিন শাস্তি দাবি জানাচ্ছি। 


এ বিষয় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা জানান এটা ১৭ সালের মামলা এখনো শেষ হয়নি, বিষয়টি খুব রহস্যজনক মনে হচ্ছে আমরা চাই সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের সাজা হোক।


নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ রিয়াদ হোসেন শান্ত

notebook

কয়রার দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীর সহযোগিতায় জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন