ফজরের নামায পড়তে মসজিদে যান মো. আজিজুল হক (৩৬) নামের এক যুবক। নামায শেষে বাসায় ফেরার পথে পাগলা কুকুরের আক্রমণে কামড়িয়ে নারিভুড়ি ও ক্ষতবিক্ষত করে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এমন ঘটনা ঘটেছে রবিবার (১৯ মে) ভোর ৫ টার দিকে নান্দাইল পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ চারিআনিপাড়া নদীরপাড়ে । এমন ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। নিহত মো. আজিজুল হক উপজেলার শেরপুর ইউনিয়নের শেরপুর গ্রামের মো. ছমির উদ্দিনের ছেলে।
নিহতর বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছে নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল মজিদ।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়- আজিজুল হক নান্দাইল দক্ষিণ চারিআনিপাড়া নদীর এলাকায় শহীদ মিয়ার বাসায় ভাড়া থাকতেন। সেখানে থেকে একটি ঔষধ কোম্পানি চাকুরি করতেন। রবিবার ভোরে মসজিদে ফজরের নামায পড়ে আসার পথে ১০-১২ সদস্যে একদল পাগলা কুকুর আজিজুল হক কে আক্রমণ করে। এক পর্যায়ে কুকুরে কামড়ে পড়নে থাকা পাঞ্জাবি ও লুঙ্গি টেনে হিঁচড়ে ছিঁড়ে মাটিতে ফেলে দেন। কুকুরের কামড়ে মুখ,চোখ ও পেট ছিদ্র করে নারিভুড়ি বের করে ফেলে এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এঘটনার খবর পেয়ে আশে পাশের মানুষজন দৌড়ে আসলে পাগলা কুকুরের দল পালিয়ে যায়।
রবিবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়- নদীরপাড়ে সড়কে মরদেহ পড়ে রয়েছে। তারপাশে পড়নে থাকা পাঞ্জাবি ও টারজারের ছিঁড়া রক্তমাখা টুকরো টুকরো অংশ ছড়িয়ে ছিঁটিয়ে পড়ে আছে। আশে পাশের মানুষজন দেখতে ভীড় করে মরদেহ দেখছে। উলঙ্গ অবস্থা থাকায় একজন একটি টিন দিয়ে অর্ধেক অংশ ঢেকে দিয়েছে। খবর পেয়ে নান্দাইল মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মরদেহ থানায় নিয়ে যায়।
নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল মজিদ বলেন- এটি খুবই মর্মান্তিক ঘটনা। পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।এ বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে।