বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলাতে নতুনকরে দেখা দিয়েছে বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির সাপ রাসেলস ভাইপার বা চন্দ্রবোড়া সাপ, দেশের পদ্মা নদীর কোলঘেঁসা জেলাগুলোতে ও উপকুলিও এলাকাতে প্রচুর পরিমান অত্যাধিক বিষধর রাসেলস ভাইপার সাপের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে।
শুধু তাই নয় এযাবত এই সাপের কামড়ে বেশ কিছু মানুষ প্রানও হারিয়েছে। ভারত হতে বিভিন্ন নদনদী দিয়ে এই রাসেলস ভাইপার সাপ বাংলাদেশে প্রবেশ করছে, বিশ্বের সবথেকে বিষধর সাপের তালিকার মধ্যে এই রাসেলস ভাইপার সাপ অন্যতম।
রাসেলস ভাইপার সাপের কামড়ে মানুষ বা প্রাণীর বাঁচার সম্ভাবনা ২০%। এই সাপ কামড় দিলে ক্ষতস্থান সঙ্গে সঙ্গে ফুলে যায় এবং প্রচন্ড ব্যথা হয়। তাছাড়া প্রচুর রক্তক্ষরণ কয় তড়িত চিকিৎসা না নিলে হার্টএটাক,কিডনি অকেজো, ফুসফুসে অক্সিজেন সরবরাহ বন্দ সহ দেহের মধ্যে চলাচলকৃত রক্ত জমাট বেধে মানুষ।
বা প্রাণীর মৃত্যু ঘটে। তাই এই সাপ কামর দিলে ওঝার নিকট না গিয়ে তাড়াতাড়ি সরকারি চিকিৎসা কেন্দ্রে গিয়ে এন্টিভেনম দিয়ে চিকিৎসা নিতে হবে, বর্তমানে বাংলাদেশ সরকার প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাপের কামড়ের চিকিৎসার জন্য এন্টিভেনম সরবরাহ করেছেন। এই সাপের প্রধান খাদ্য ইঁদুর,তাই এরা খাদ্যের জন্য ফসলি জমিতে ঝোপঝাড়ে ও লোকালয়ে।
মানুষের বাড়িতে ইঁদুর থাকায় এইসব জায়গায় বিচরন করেন। রাসেলস ভাইপার সাপ দেখতে ছোট অজগরের বাচ্চার মতো। বাংলাদেশে বেজি ও গুইসাপ বিসধর রাসেলস ভাইপার সহ সকল বিষধর সাপকে খেয়ে থাকেন, তাই বেজি ও গুইসাপ মারা থেকে সবাইকে বিরত থাকতে হবে।
বিশ্বে সকল প্রজাতির সাপ ডিম দেয় সুধু রাসেলস ভাইপার সাপ সরাসরি বাচ্চা দেয়।এই সাপ একসঙ্গে ২০ থেকে ৫০ টিরও বেশি বাচ্চা দেয়, বাংলাদেশে এই বিষধর রাসেলস ভাইপার সাপকে নিয়ে নতুন করে আতংকিত। এই সাপ নজরে পড়া মাত্র না মেরে উপজেলা প্রাণীসম্পদ অফিসে অথবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে অবহিত করতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশে এই সাপের প্রাদুর্ভাব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে , তাই দেশের গ্রামাঞ্চলে কৃষক, শ্রমিক ক্ষেতমজুর সহ সাধারণ জনগনকে অতিব সতর্কতার সহিত চলাফেরা করতে হবে, রাসেলস ভাইপার সাপ সম্পর্কে দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল-কামাহ তমাল বলেন, এখন পর্যুন্ত ফুলবাড়ী উপজেলার কোন জায়গাতে এই সাপ দেখা যায়নি, যদি কখনো কারো।
নজরে আসে তবে সঙ্গে সঙ্গে উপজেলা পরিষদ কে অবহিত করলে আমরা ব্যবস্থা নিব এবং যদি কোন মানুষকে বা গবাদি পশুকে কামড়ায় তবে তাৎক্ষণিকভাবে আমাদেরকে অবহিত করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও প্রাণীসম্পদ অফিসে নিয়ে আসলে সরকারিভাবে চিকিৎসা প্রদান করা হবে। বিষধর রাসেল ভাইপার সাপ সম্পর্কে জানুন ও সতর্ক থাকুন।