লক্ষ্মীপুরে বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতির ফলে ভেসে গেছে ঘরবাড়ি পানি বন্দি হয়ে পড়েছে প্রায়১০লাখ মানুষ এদের প্রায় ৩০হাজার মানুষ আশ্রয়ন কেন্দ্র গুলোতে অবস্থান নিয়েছে তবে অনেকেই তাদের ঘর বাড়ি ছেড়ে আশ্রয়ন কেন্দ্রে যায় নি। এর মূল কারণ হিসেবে তারা চুরির ঘটনার কথা বলছেন।
বুধবার (২৮আগষ্ট) লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের লক্ষীপুর -চৌমুহনী মহা সড়কের পুলিশ লাইন্স এলাকার রাস্তার পাশে কয়েকটি পরিবারকে তাবু গেড়ে বসবাস করতে দেখা যায় তারা বলছেন, পাশেই তাদের বসত ঘর। কয়েকদিন যাবত ঘরে পানি উঠায় তারা রাস্তার পাশেই থাকছেন।
রাস্তার পাশে পরিবার নিয়ে বসবাস করা মোঃ কাশেম বলেন, আমরা প্রায় ২০-৩০পরিবারের ঘর বাড়ি এ রাস্তার পাশে গত সপ্তাহ ধরে আমাদের ঘরে পানি বাচ্চাদের নিয়ে ঘরে থাকতে পারছি না এদিকে চুরির ভয়। তাই দূরে কোথাও না গিয়ে বাড়ির পাশের সড়কে তাবুতে থাকি।
আবু তাহের বলেন, আমার দুই মেয়ে, এক ছেলে পানি বেড়ে যাওয়ায় ঘরে থাকা যাচ্ছে না। আশ্রয়ন কেন্দ্রেও জায়গা নেই এদিকে ঘর-বাড়ি কার কাছে রেখে যাবো তাই রাস্তার পাশে থাকছি।
নয়ন আক্তার বলেন, ঘরে পানি ওঠায় শহরের একটি বাসা ভাড়া নিয়েছি দিনে এসে ঘর-বাড়ি দেখে যায় যাই যেখানে উঠেছি সেখানেও পানিও ওঠার উপক্রম।
জেলা ত্রাণ ও পূর্নবাসন কর্মকর্তা মোঃ ইউনুস মিয়া বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ৪১৯ মেট্রিক টন জিআর চাল ও ১০ লাখ নগদ টাকা (জিআর ক্যাশ) বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
বরাদ্দকৃত টাকার মধ্যে প্রত্যেক উপজেলার জন্য দুই লাখ টাকা করে দেওয়া হয় জেলায় বর্তমানে প্রায় ১০লাখ পানি বন্দি এবং আশ্রয়ন কেন্দ্রগুলোতে ৩০হাজার মানুষ অবস্থান করছে। এ সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।