ঢাকা | বঙ্গাব্দ

৪৯ তম জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোওয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

  • আপলোড তারিখঃ 15-08-2024 ইং |
  • নিউজটি দেখেছেনঃ 206380 জন
৪৯ তম জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোওয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত ছবির ক্যাপশন: স্বাধীন ৭১
LaraTemplate

পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলার ৯নং ফৈলজানা ইউনিয়নের  হালিমপুর হিড়িন্দা বাজারে মনোয়ারা হালিম পাবলিক লাইব্রেরীর উদ্যোগে তার অস্থায়ী কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার (১৫ আগষ্ট ২০২৪) সকালঃ ১০:০০ ঘটিকার সময় ৪৯তম জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা 



সভা ও দোওয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয় বিশিষ্ট কবি কলামিস্ট সাংবাদিক গবেষক,পরিবেশ ও মানবাধিকার কর্মী প্রভাষক এস এম মনিরুজ্জামান আকাশ এর সভাপতিত্বে। 


উপস্থিত ছিলেন ফৈলজানা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য ও সমাজসেবক মোঃ আব্দুস ছালাম, আরো উপস্থিত ছিলেন আফতাব উদ্দিন মোল্লা, মাওলানা মোঃ মুজাহিদুল ইসলাম,  আরো উপস্থিত ছিলেন এলাকার সচেতন ছাত্র-যুবক, জনতা। 


প্রভাষক এস এম মনিরুজ্জামান আকাশ বলেন।


দেশ পরাধীন ছিলো ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের আগে।


বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাতই মার্চের রক্তগরম করা ভাষনের পর বাঙ্গালিরা ঐক্যবদ্ধ হতে থাকে। ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা পত্র সাক্ষর করেন, ও বলেন আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন ঘোষণা করেন।


সেই রাতে অপারেশন সার্চলাইট চালায় হানাদার বাহিনী। 


বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বন্দী করে পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হয়।


১০ই এপ্রিল, ১৯৭২  মুক্তিযুদ্ধকালীন সরকার বা প্রবাসী সরকার গঠিত হয় ও ১৭ই এপ্রিল ১৯৭২ মুক্তিযুদ্ধকালীন সরকার শফথ গ্রহণ করে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করতে থাকে। 


সুদীর্ঘ নয় মাস রক্ত-প্রান সম্ভ্রম হারানো মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লোক শহীদ হন।  দুই/চার লক্ষ মা-বোনদের ইজ্জত বিসর্জনের দ্বারা অর্জিত হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা। 


বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে দেশে এসে বিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে আত্মনিবেশ করেন।


পনেরই আগষ্ট একদল বিপথ গামী সশস্ত্র সৈনিকদের হাতে বঙ্গবন্ধু স্বপরিবারে নিহত হন।


বঙ্গবন্ধুকেও তার পরিবারকেই শুধু হত্যা করা হয়নি!  সেদিন। 


বাংলাদেশকেও হত্যা হয়েছে। 


পালা বদলের হাওয়ায় কেটে গেছে অনেক বছর।


বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনা মাঝে ১৯৯৬ সালের ১২ জুন ও ২০০৮ সালের ২৯ শে ডিসেম্বর ক্ষমতাসীন হন।


দেশে ব্যাপক উন্নয়ন মুলক কর্মকান্ড হলেও সরকারের কিছু দুর্নীতি গ্রস্থ এমপি-মন্ত্রী, চাটুকার নেতৃবৃন্দের অশালিন কথা বার্তার কারণে শেখ হাসিনাকে ছাত্র জনতার আন্দোলনে তোপের মুখে পড়ে দেশ ছাড়তে হয়। 


শেখ হাসিনার কর্মীদের বাঁচানোর জন্য দেশে ফেরা দরকার। আমরা আজকে শোক দিবসের শোক-কে শক্তিতে রুপান্তর করে দেশকে বাঁচাতে হবে। তিনি আরো বলেন, ছাত্রদের যৌক্তিক আন্দোলন ভিন্নখাতে একটি মহল প্রবাহিত করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চেয়েছিল।


তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত, ভাষা আন্দোলনে নিহত ও বিভিন্ন গনতান্ত্রিক আন্দোলনে নিহত পনেরই আগষ্টে নিহত সকল শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। 


এছাড়াও সম্প্রতি দেশে বিরাজমান কোটা সংস্কার আন্দোলন ও অরাজকতায় নিহত শহীদ আবু সাঈদ, শহীদ মুগ্ধ,  ছাত্র-জনতা, শিশু এবং পুলিশসহ নিহত সকল শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় জান্নাতুল ফেরদাউসের মেহমান হিসেবে কবুল করার দোওয়া করেন আল্লাহ পাকরাব্বুল আলামীনের দরবারে।


আরো বক্তব্য রাখেন মোঃ আব্দুল ছালাম,  মোঃ আফতার উদ্দিন মোল্লা।


দোওয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা মোঃ মুজাহিদ ইসলাম। 


আলোচনা সভা পরিচালনা করেন মোঃ হাজ্জাজ বিন আব্দুর রউফ স্বাধীন।


নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ মোঃ রিপন আহমেদ

সর্বশেষ সংবাদ
notebook

কয়রার দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীর সহযোগিতায় জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন