খুলনার কয়রা উপজেলায় দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের শাকবাড়িয়া নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকালে ড্রেজার সরঞ্জামাদি জব্দসহ কয়েকজন শ্রমিককে আটক করে কোষ্টগার্ড।
আজ (২১ সেপ্টেম্বর শনিবার) দুপুরে কয়রা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বিএম তারিক-উজ জামান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের পরিচালনার মাধ্যমে ড্রেজার মালিককে এক লাখ টাকা জরিমানা করেন।
আমরা সরজমিনে গিয়ে স্থানীয় সূত্রে জানতে পারি , কয়রা উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের জোড়াশিং, গোলখালী ও আংটিহারা নামক স্থানে নদীতে কোনো চর না থাকলেও ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন ও বিক্রয় করে আসছিল হারুণ নামে এক বালু ব্যবসায়ি।
আর এ বালি গুলো বেশিরভাগ বাঁধের কাছ থেকে খনন করার কারণে ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে ওই এলাকার নদীর বাঁধ।
কয়রা উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশি গ্রামের বাসিন্দা আমির হামজা বলেন, অবৈধ বালু তোলার পেছনে একটি শক্তিশালী চক্রের হাত রয়েছে। সরকার পতনের আগে যেভাবে বালু উত্তোলন হত, সরকার পতনের পরেও তা বহাল আছে সরকার পতনের পরে শুধু চক্রের সদস্য পরিবর্তন হয়েছে। ওই চক্রের মধ্যে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারি কর্মকর্তাসহ অনেকেই যুক্ত রয়েছে। অবৈধ বালু তোলার মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছেন কতিপয় ব্যক্তি আর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষ।
তিনি আরও বলেন, স্থানীয় প্রশাসন মাঝেমধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালালেও অবৈধ এ কার্যক্রম বন্ধ হয় না। এ অবস্থায় নদীর তীরের বেড়িবাঁধ ও আবাদী জমিগুলো ভাঙনের কবলে পরে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষ ।
কয়রা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিএম মোঃ তারিক-উজ-জামান বলেন, কোস্টগার্ড অভিযান চালিয়ে ড্রেজারসহ কয়েকজন শ্রমিককে আটক করে। তাৎক্ষণিক ড্রেজার মালিকের নিকট থেকে এক লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।