ঢাকা | বঙ্গাব্দ

সংশ্লিষ্ট অফিস এবং হাজী শরিফুল ইসলাম প্রধানসহ বালুচোর সিন্ডিকেটের কান্ড !!

  • প্রতিনিধির নাম :রনজিৎ সরকার রাজ , বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ | নিউজ প্রকাশের তারিখ : Apr 20, 2025 ইং | নিউজটি দেখেছেনঃ 1456 জন
সংশ্লিষ্ট অফিস এবং হাজী শরিফুল ইসলাম প্রধানসহ বালুচোর সিন্ডিকেটের কান্ড !! ছবির ক্যাপশন: স্বাধীন ৭১
ad728
দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের কাশিপুর মৌজার আত্রাই নদীতে নিষিদ্ধ ড্রেজার মেশিন ও ডাম্পট্রাক দ্বারা চোরাই পথে অবৈধভাবে রাতের আধরে লাখ লাখ টাকার বালু উত্তোলন, মজুদ এবং বিক্রি অব্যাহত থাকলেও নেই কোন প্রতিকার।

এই সরকারী সম্পদ চুরির বর্তমান  মূল হোতা বিএনপি নেতা, জিয়া সেতুর পশ্চিম ঘাটপাড়ের রাইয়ান ফিলিং স্টেশনের স্বত্বাধিকারী, সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য, হাজী শরিফুল ইসলাম প্রধান, তার সঙ্গে জড়িত ভুয়া ইজারাদার নুরুল ইসলাম, ফেরদৌস আলী মেম্বার ও হাসমত আলীসহ অজ্ঞাত কেউ।

ফ্যাসিস্ট, স্বৈরাচার আওয়ামী সরকার আমলে এবং দিনাজপুর-১ আসনের দূর্নীতিবাজ সাবেক এমপি মনোরঞ্জন শীল গোপালের সময়কালে ও তার সক্রিয় মদদে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে পানি উন্নয়ন বোর্ড দিনাজপুরসহ বীরগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী অফিসার দূর্নীতিবাজ অসাদু কর্মকর্তা ফজলে এলাহী ও কতিপয় আওয়ামী লীগের নেতা, তৎকালীন ইউনিয়ন সভাপতি প্রভাষক জিয়াউর রহমান জিয়া, মজিবর রহমান (অবঃ মাষ্টার) প্রধান শিক্ষক আজাদ মাষ্টার এবং ইউপি চেয়ারম্যান শাহীনুর রহমান চৌধুরী শাহীন সমন্বয় গঠিত সরকারী বালু খেকো রাজস্ব চোরের সিন্ডিকেট।

নদী খননের বালু সমুহ ১২টি লট তৈরী করে সেগুলো ২ মাসের জন্য স্বল্প মেয়াদি ইজারা দেয়া হয়, উক্ত লটগুলোর মধ্যে ২ টি লট জনৈক নুরুল ইসলাম, ৮ টি লট এমএ খালেক সরকার এবং ২ টি লট সাজেদুর রহমাব অন্তুু নামে ইজারা নিয়ে যথা সময়ে সমুদয় বালি অপসারণ করে।

কিন্তু সাবেক এমপি মনোরঞ্জন শীল  গোপাল ও তার অনুসারীরা প্রভাব বিস্তারসহ নিয়মিত ঘুষ বানিজ্যের মাধ্যমে ইউএনও ফজলে এলাহীকে মোটা অংক মাসোহারা দিয়ে আত্রাই নদীর কাশিপুরে অবৈধ বালু উত্তোলন অব্যাহত রাখে।

তারা ২০২৪ সাল পর্যন্ত লাখ লাখ টাকার বালু উত্তোলন এবং আত্মসাৎ করেছে।

পতিত স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ সরকার পতন তথা প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের সময় অবৈধ বালি উত্তোলন সাময়িক বন্ধ ছিল। ২৪-এর জুলাই বিপ্লবে সরকার পরিবর্তনের পর স্বৈরাচার দুর্নীতি ও জুলুমবাজ, নারী লোভী, খুনি সাবেক এমপি মনোরঞ্জন শীল গোপালসহ তার দোসরেরা মামলা হামলার কারনে আত্মগোপনে চলে যায়।
কাশিপুর বালু ঘাট দখলে নেয় ভুয়া ইজারাদার (সাবেক এমপি গোপাল ভক্ত) নুরুলের মাধ্যমে বিএনপি নেতা হাজী শরিফুল ইসলাম প্রধানসহ তার সাঙ্গপাঙ্গরা।

সেখানে এখনো অবৈধ মাটি ও বালু উত্তোলন চলছে, দীর্ঘদিন অবৈধ বালু উত্তোলন বিক্রি এবং আত্মসাতের পর এখন তারা প্রতি রাতে কাশিপুর জামে মসজিদের সামনে, রাস্তার ধারে চৌধুরীহাট টেকনিক্যাল কলেজের পাশে মজিদ হাজীর জমিতে এবং নদীর পাড়সহ বিভিন্ন স্থানে লাখ লাখ সিএফটি/ঘনফুট বালি সকলের জ্ঞাতসারে মজুদ করছে, বর্ষাকালে স্টক বালি অধিক মুল্যে বিক্রয় করবে।

প্রায় ৭০/৮০ লাখ টাকার বালি ইতোমধ্যে মজুদ করা হয়েছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকের ধারনা।

ভুয়া ইজারাদার নুরল ইসলাম রাতের আধারে অবৈধভাবে বালু মজুদের বিষয়টি স্বীকার করেছে।

সকলের জ্ঞাতসারে প্রকাশ্যে লাখ লাখ টাকার সরকারী সম্পদ মাটি ও বালি চুরির ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে জজ কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী চাঁন মিয়া বলেন এ ধরনের কর্মকাণ্ড দণ্ডনীয় এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

এসিল্যান্ড অথবা উপজেলা প্রশাসন আইন প্রয়োগের মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব চুরির এই সিন্ডিকেট কে আইনের আওতায় এনে মওজুদকৃত বালুগুলি বাজেয়াপ্ত করে সরকারের কোষাগরে আনতে পারেন, তাতে আইনগত কোন বাধা নেই।

মোহনপুরের মুজাহিদ, সামসুল, সামাদ, সাজ্জাদ হোসেন, কাশেম আলী, কোবাদসহ অন্যায়ের প্রতিবাদকারী অনেক দেশ প্রেমিক ব্যাক্তিরা বলেন, আগে খেত আওয়ামী লীগের নেতারা, আর ক্ষমতায় না আসতেই এখন খাচ্ছে বিএনপি'র নেতারা, চুটিয়ে ঘুষ বানিজ্য করছে আমলারা।

তীব্র নিন্দা জানিয়ে প্রতিকার দেখতে চায় সচেতন মহল।

এ ব্যপারে উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী পাউবো দিনাজপুর সিদ্দিকুর রহমান এবং বীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর আহমেদের সাথে কথা হলে তারা ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান।

নিউজটি পোস্ট করেছেন : মোঃ সেলিম মিয়া

কমেন্ট বক্স
পটিয়ার ভান্ডারগাঁও নব শক্তি সংঘের পহেলা বৈশাখ উদযাপন

পটিয়ার ভান্ডারগাঁও নব শক্তি সংঘের পহেলা বৈশাখ উদযাপন