ভোলা মনপুরা উপজেলা, ৩ নং উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড এর বাসিন্দা ইউনুস এর মেয়ে তানিয়াকে, তানিয়ার বাড়িতে পরিকল্পিত ভাবে তার স্বামী সজিব হত্যা করে টিনের চালের রুপার সাথে ঝুলিয়ে রাখে বলে ধারনা করছে মৃত তানিয়ার বাবা,মা।
তানিয়ার মা মাইনুর বেগম বলেন,আমার মেয়ের বিয়ে হয়েছে দেড় বছর আগে সজিবের সাথে। আমার নাতি হওয়ার ৭ দিন এর সময় আমরা বেয়াইয়ের বাসায় গিয়েছি। আমার জামাইয়ের সাথে তাহের ফিটারের মেয়ের সাথে সম্পর্ক ছিল। তানিয়া, সজিবের মোবাইলে ওই মেয়ের সাথে একটা ছবি দেখতে পায়। আমার মেয়ে ছবির বিষয়ে সজিবকে জিজ্ঞেস করলে সাজিবের বাসায় আমাদের সামনে তানিয়াকে মারধর করে। এর পর আমি এবং তানিয়ার বাবা তানিয়াকে রাগ করি এবং তানিয়ার শ্বশুর শ্বাশুরির কাছে মাফ চাইয়ে দিয়ে আসি। এর পর ১০ জুন মঙ্গলবার আমার মেয়েকে নাতি সহ কারে আমাদের বাসায় নিয়ে আসি। এর ভিতর সজিব আমাদের বাসায় যাতায়াত করতো। মোবাইলে আমার মেয়েকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে প্রতিদিন।
দুইদিন সজিব আমাদের বাসায় আসেনি। এরপর গতকাল ১৬ জুন সোমবার রাতে সজীব আমাদের বাসায় আসে রুমে গিয়ে শুয়ে পরে। আমার ২ মাসের নাতি আমার কাছে ছিলো। রাত আনুমানিক ১ টার দিকে যখন আমার নাতি কেঁদে উঠে তখন আমি মেয়ের রুমের সামনে গিয়ে তানিয়া, তানিয়া, করে প্রায় ২০ মিট ডাকা ডাকি করতে থাকি। কোন সারা শব্দ না পেয়ে লাইট জ্বালিয়ে দেখি আমার মেয়ের হাটু ভাঙ্গা অবস্থায় মরা ঝুলে আছে। সজীব চকিতে শুয়ে আছে। এর পর আমার চিৎকারে মেয়ের বাবা আসে সবজি পালানোর চেষ্টা করে।
এর পর মনপুরা থানায় কল দিলে মনপুরা থানা পুলিশ সজীব কে এরেস্ট করে, মরদেহ উদ্ধার করে মনপুরা থানায় নিয়ে আসে।