শনিবার কর্ণফুলী নদীর তীরবর্তী বিভিন্ন স্পট পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান প্রকৌশলী আনিসুর রহমান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জসিম উদ্দিন, নির্বাহী প্রকৌশলী আশিকুল ইসলাম, তৌহিদুল ইসলাম এবং সহকারী প্রকৌশলী রুবেল চন্দ্র দাশসহ অন্যান্য কর্মকর্তা।
পরিদর্শনকালে মেয়র ডা. শাহাদাত বলেন, "চট্টগ্রাম শহরের কেন্দ্রীয় এলাকার চাপ কমাতে এবং নাগরিক সেবা সহজলভ্য করতে শহরকে দুই অঞ্চলে ভাগ করে পরিকল্পিত উন্নয়ন করা হবে। একটি অঞ্চল থাকবে বর্তমান নগর কেন্দ্র, অপরটি হবে কর্ণফুলী নদীর অপর পাড়ের নতুন টাউনশিপ।"
তিনি আরও বলেন, "নগরায়নের চাপে যেন নাগরিক জীবনের গুণগত মান ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেজন্য আধুনিক অবকাঠামো, পরিকল্পিত সড়ক নেটওয়ার্ক এবং সবুজায়নের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে।"
চট্টগ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে মেয়র বলেন, "আমি চট্টগ্রামের বিপুল প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে কাজে লাগিয়ে এ নগরীকে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন শহর হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।"
একইদিন মেয়র নগরীর সাগরিকায় চসিকের বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি এসব স্থাপনার যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে চসিকের রাজস্ব আয় বাড়ানোর ঘোষণা দেন।
মেয়র বলেন, "আমি চসিককে স্বনির্ভর করতে চাই। চট্টগ্রাম সিটির প্রথম মেয়র হিসেবে আমি বন্দর থেকে ১০০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেছি। যে প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের হাতছাড়া হয়ে গিয়েছিল, আমি তা পুনরুদ্ধার করেছি। যে বিপ্লব উদ্যান বেদখলের পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তা ব্যর্থ করে নাগরিকদের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছি। ঠিক একইভাবে অব্যবস্থাপনা ও লুটপাটের কারণে অর্থনৈতিকভাবে ধুঁকতে থাকা চসিককে স্বাবলম্বী করে তুলব।"
মেয়র জানান, ইতোমধ্যে চসিকের বিভিন্ন স্থাপনার ভাড়া পুনঃনির্ধারণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, যাতে প্রতিষ্ঠানটির আয় আরও বাড়ানো সম্ভব হয়। এছাড়া রাজস্ব বিভাগের কর্মীদের রাজস্ব আদায় বাড়ানোর জন্য মাঠ পর্যায়ে তৎপরতা বাড়াতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।