ঢাকা | বঙ্গাব্দ

ভোলায় এসে বন্ধুর বোনকে বিয়ে করলেন চীনা যুবক

  • প্রতিনিধির নাম :রাকিবুল ইসলাম রুবেল, স্বাধীন ৭১ | নিউজ প্রকাশের তারিখ : May 9, 2025 ইং | নিউজটি দেখেছেনঃ 274 জন
ভোলায় এসে বন্ধুর বোনকে বিয়ে করলেন চীনা যুবক ছবির ক্যাপশন: স্বাধীন ৭১
ad728

দ্বীপ জেলা ভোলায় এসে কলেজ পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীকে বিয়ে করেছেন চীনা যুবক ইরিছা চং।

গেল সোমবার (৫ মে) ১০ লাখ টাকা কাবিনে চীনা এই যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয় ভোলা সদর উপজেলার ভেলুমিয়া ইউনিয়নের চন্দ্রপ্রসাদ গ্রামের ইলিয়াস হাওলাদারের মেয়ে নাবিয়া আক্তারের।



স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দুই বছর আগে ইউচ্যাটের মাধ্যমে চীনা এই যুবকের সঙ্গে ইলিয়াস হাওলাদারের ছেলে রনির পরিচয় হয়। এরপর প্রায়ই তাদের কথা হতো। একপর্যায়ে গেল ১১ এপ্রিল চীন থেকে বাংলাদেশের দ্বীপ জেলা ভোলার চন্দ্রপ্রসাদ গ্রামে আসেন ২৫ বছর বয়সী টগবগে চীনা এই যুবক। এরপর প্রায় এক মাসের মতো বন্ধু রনির বাড়িতে থাকেন তিনি। একপর্যায়ে বন্ধুর ছোট বোন কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী নাবিয়া আক্তারকে পছন্দ করে ফেলেন, দেন বিয়ের প্রস্তাবও।

প্রথমে মেয়েটির পরিবার বিয়েতে রাজি না হলেও পরবর্তীতে চীনা এই যুবকের সঙ্গে বিয়ের সম্মতি প্রকাশ করেন। এরপর গেল ৫ মে রাতে ১০ লাখ টাকা কাবিনে নাবিয়াকে বিয়ে করেন চীনা যুবক ইরিছা চং। এরপরই এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। দূর-দূরান্ত থেকে চীনা এই যুবককে এক নজর দেখতে ছুঁটে আসেন হাজারো মানুষ।

ইরিছা চং নামের চীনা এই যুবক মুসলিম। চীনের লানজু শহরে তার জন্ম। তার বাবার নাম মেছউধা। দুই ভাই এবং এক বোনের মধ্যে ইরিছা দ্বিতীয়। তিনি লানজু শহরের একটি মাদরাসায় পড়াশোনা করেন এবং নাবিয়া স্থানীয় একটি কলেজের শিক্ষার্থী। নাবিয়া এক ভাই ও দুই বোনের মধ্যে দ্বিতীয়।

নাবিয়ার ভাই রনি জানান, ইউচ্যাটের মাধ্যমে চীনা এই যুবকের সঙ্গে তার প্রথম পরিচয় হয়। এরপর তিনি বাংলাদেশে আসার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেন। একপর্যায়ে গেল ১১ এপ্রিল তিনি চীন থেকে বাংলাদেশে আসেন। এক মাসের মতো তাদের বাড়িতে থাকেন। একপর্যায়ে তার ছোট বোন নাবিয়াকে তিনি পছন্দ করে ফেলেন। এরপর তিনি জানান, নাবিয়াকে বিয়ে করা ছাড়া তিনি চীনে ফিরবেন না।

নাবিয়ার বাবা ইলিয়াস হাওলাদার জানান, প্রথমে তারা কেউই এই বিয়েতে রাজি ছিলেন না। পরবর্তীতে কোনো উপায়ন্তর না পেয়ে তারা নাবিয়াকে ইরিছার সঙ্গে বিয়ে দিয়েছেন। এতে সবাই খুশি। জামাই তাদের পছন্দ হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, ইরিছা নিয়মিত নামাজ পড়েন এবং তিনি মুসলিম। তাই বিদেশি এই যুবককে জামাই হিসেবে পেয়ে তারা গর্বিত।

বাংলাদেশি মেয়েকে বিয়ে করতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান বলে মনে করছেন ইরিছা চং। তিনি ঢাকা মেইলকে বলেন, নাবিয়া এবং তার ভাইয়ের পাসপোর্টের কাগজপত্র ঠিকঠাক হলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তিনি তাদেরকে নিয়ে চীনের উদ্দেশে রওয়ানা হবেন।

এদিকে চীনা যুবককে বিয়ে করতে পেরে খুশিতে আত্মহারা নাবিয়া আক্তার। তিনি ঢাকা মেইলকে বলেন, প্রথমে এই বিয়েতে কেউ রাজি না হলেও পরবর্তীতে সবার সম্মতিক্রমে তিনি এই বিয়েতে রাজি হন। খুব দ্রুত চীনে যাওয়ার জন্য ইতিমধ্যে তিনি পাসপোর্টসহ আনুষঙ্গিক সব কাগজপত্র ঠিকঠাক করছেন।

বিদেশি কোনো ছেলে এই প্রথম দ্বীপের রাণী ভোলায় এসে ভালোবেসে বিয়ে করলো। ভোলাজুড়ে এখন সব বয়সী মানুষের মুখে মুখে শুধু ইরিছা চংয়ের নাম। তাকে এক নজর দেখতে ছুঁটে আসছেন হাজারো মানুষ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসনাইন পারভেজ ঢাকা মেইলকে বলেন, চীনা যুবক ভোলায় এসে বিয়ে করেছেন, এ বিষয়টি পুলিশকে কেউ জানায়নি।

নিউজটি পোস্ট করেছেন : মোঃ সেলিম মিয়া

কমেন্ট বক্স
বাংলাদেশে যুব অধিকার পরিষদ কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রোগমুক্

বাংলাদেশে যুব অধিকার পরিষদ কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রোগমুক্