ভোলার দৌলতখানে আগুনে খুন্তি পুড়িয়ে চার বছরের এক শিশুর সমস্ত শরীরে ছ্যাঁকা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে সৎ মায়ের বিরুদ্ধে। স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করে ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) ঘটনাটি ঘটেছি দৌলতখান উপজেলার মেদুয়া ইউনিয়নের মাঝিরহাট এলাকায়। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) দুপুরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নির্যাতিত শিশুর বাবা মো. জসিম জানান, প্রথম সন্তান নাফিয়াকে রেখে দুই বছর আগে তার প্রথম স্ত্রী রহিমা বেগম (নাফিয়ার মা) মারা যান। পরে তিনি সালমা বেগম নামে আরেক নারীকে বিয়ে করেন। তার দ্বিতীয় স্ত্রী পারিবারিক ঝগড়া বিবাদের জেরে ৯ এপ্রিল নাফিয়াকে মারধর করে। বাবা জসিম তার প্রতিবাদ জানালে তার অনুপস্থিতিতে ১০ এপ্রিল বিকেলে লোহার খুন্তি আগুনে পুড়িয়ে শিশুর সমস্ত শরীরে ছ্যাঁকা দেয়। রাতে দেরি করে কাজ থেকে ফেরায় বিষয়টি জানতে পারেননি।
শুক্রবার প্রতিবেশীদের মাধ্যমে জানতে পারেন। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় শিশুকে হাসপাতাল এনে ভর্তি করান, প্রতিবেশী খোকন ও মিনারা বেগম জানান, সালমা প্রায়ই ওই শিশুকে মারধর করতো। স্বামীর সঙ্গে সামান্য ঝগড়া হলে তার প্রতিশোধ শিশুটির উপর নেয়। শিশুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা প্রতিবেশীরা এমন অমানবিক ঘটনার জন্য অভিযুক্ত সৎ মা সালমার শাস্তি দাবি করেছেন।