কোথাও খাল ভরাট হয়ে গেছে কোথাও কচুরিপানার আবর্জনা, কোথাও স্বচ্ছ পানি আবার কোথায় কালো দূর্গন্ধ পানি। কোথাও খালের মাঝ বরাবর জায়গায় ভরাট করে রাখা হয়েছে। প্রবাহ মান খালের এমন ভিন্ন চিত্র প্রভাব পড়ছে প্রকৃতিতে।
রবিবার ( ৬ এপ্রিল ) বিকেল ৩টায় চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কের নাখাইনে ফুলকলি ফ্যাক্টরির সামনে মানববন্ধন করেছে পটিয়া উপজেলা গণ অধিকার পরিষদ।
পটিয়া উপজেলা এই এলাকার পাশাপাশি অন্যান্য এলাকার চিত্র একই রকম। শনিবার (৫ এপ্রিল) সরেজমিনে গিয়ে এমন চিত্র লক্ষ্য করা যায়।
উপজেলার হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়নের , মনসা বাদামতল থেকে শুরু হওয়া খালের পানি পাচুরিয়া হয়ে (বোয়ালখালী) মিলিটারি ফুল খাল হয়ে পানি ভ্যাইল্লে পাড়া ব্রিজ হয়ে সরাসরি মিশেছে কর্ণফুলী নদী তে। খালটি পানির চিত্র এখন পানির স্বাভাবিক তারতম্যের বিপরীত, খালের কিছুটা অংশে পানি কালো , কিছু স্বচ্ছ কিছু এঁকে বারে ভরাট।
এদিকে উপজেলার ,কেলিশহর , জঙ্গলখাইন, বড়লিয়া ইউনিয়নের চিত্র একি রকম। যেখানে সেচের পানি ব্যবহার করতে না পাড়ায় শতাধিক হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হচ্ছে না।
২৫ বছর ধরে কৃষি কাজের সাথে সম্পৃক্ত, হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়নের,চরকানায় গ্ৰামের কৃষক। আবুল কাসেম জানান, কৃষি কাজে ব্যবহারিত সকল ধরনের জৈব ও রাসায়নিক সার প্রয়োগের মাধ্যমে সফলতা অর্জন করতে চাই কিন্তু খাল ভরাট হওয়ায় পানি দূষণ হয়ে পড়েছে। ফলশ্রুতি সূচিতে চাষাবাদে এই পানি ব্যবহার এর অনুপযোগী।
নাখাইন এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা শিরিন আক্তার বলেন, ফুলকলির মিষ্টি পানির ব্রজের কারণে খালের পানি দূরগন্ধে পরিনত হয়েছে। বাচ্চাদের নিয়ে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছি এই এলাকা এখন বসাবাসের অনুপযোগি। প্রসাশনের যথাযথ কর্তৃপক্ষ যতি বিষয়টি সম্পর্কে যথাযথ ব্যবস্থা নেন তাহলে আমরা আবারও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারবো।
পরিবেশবিদরা বলেছেন, শহরে পর সব চেয়ে বেশী দূষণ হয় গ্ৰামের খাল গুলো কলকারখানার অপরিশোধিত বজ্র আর ভরাটের কারনে পানি যেমন তার স্বাভাবিক গতি হারিয়ে ফেলেছেন তেমন পানির রং পরিবর্তনে দূর্গন্ধ হয়ে বিষাক্ত পানি জন স্বাস্থ্য ঝুঁকি ও জলজ প্রাণীর বেঁচে থাকার ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছে। যদি দ্রুত ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে পটিয়ার এই সবুজ ভূমি রূপ নেবে এক বিপর্যস্ত ময়লা যুক্ত এলাকাতে।
পটিয়া কৃষি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন তারা এই বিষয়টি নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করতেছে।