নিহত মোখলেস উদ্দিন ভূইয়া (২৮) মিঠামইন উপজেলার কেওয়ারজোড় ইউনিয়নের ফুলপুর গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে। তিনি কেওয়ারজোড় ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। এছাড়াও কিশোরগঞ্জ কোর্টের আইনজীবী সহকারী হিসেবে কাজ করতেন।
জানা যায়,মোখলেস গত ২৯ মার্চ রাতে হারুয়া বৌ বাজার এলাকার চুন্নু মিয়ার ভাড়া বাসা থেকে নিখোঁজ হন। আশেপাশের বিভিন্ন সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অভিযুক্ত ১ জন আসামিকে আটক করে পুলিশ। আটক আসামির ভাষ্য অনুযায়ী মোখলেস উদ্দিন ভূইয়াকে হত্যা করে নরসুন্দা নদীতে লাশ গুম করে ফেলে বলে জানায়। যার ফলে সেই তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ লাশ উদ্ধারে অভিযানে নামে।
গত সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল লাশ উদ্ধারে অভিযান চালায়।পুলিশের লাশ উদ্ধারের অভিযানকে কেন্দ্র করে ওয়াচটাওয়ার সংলগ্ন নরসুন্দা নদীর তীর এলাকায় উৎসুক জনতা ভীড় জমায়।নিখোঁজ মোখলেস উদ্দিন ভূইয়ার বড় ভাই আশরাফ আলী জানান,৩ মাস ধরে মোখলেছ কিশোরগঞ্জ শহরের হারুয়া বউ বাজার এলাকার চুন্নু মিয়ার বাসায় ভাড়ায় থাকতেন। গত ২৯ মার্চ ভাড়া বাসা থেকে আনুমানিক রাত ৯ টার দিকে নিঁখোজ হন তিনি।
পুলিশ জানায়,তার সর্বশেষ অবস্থান রাস্তার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সিসি টিভি ক্যামেরার ফুটেজে মাধ্যমে শনাক্ত হয়। এই সিসি টিভি ক্যামেরার ফুটেজে তার সাথে কয়েকজনকে দেখা যায়।
সিসি টিভি ক্যামেরার ফুটেজের সূত্র ধরে পুলিশ ১ জনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার ব্যক্তি পুলিশকে জানায়,ছাত্রলীগ নেতা মো. মোখলেছ উদ্দিনকে হত্যা করে নরসুন্দা নদীতে ফেলে দেয়া হয়েছে। এই তথ্যের ভিত্তিতেই মরদেহ উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা হয়। মঙ্গলবার বিকালে ছাত্রলীগ নেতা মোখলেছের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ বিপিএম-সেবা, পিপিএম বার বলেন,নিহতের লাশ নরসুন্দা নদী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও নিহতের পরিহিত লুঙ্গি ও চাবি পাওয়া গেছে। এতে বুঝা যাচ্ছে এটি একটি ক্লিয়ার মার্ডার।
এ ঘটনায় একজনকে আটক করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।এ ঘটনার সাথে আরো যারা জড়িত তাদেরকেও দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।