রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রীন কোজি কটেজ নামের বহুতল ভবনে লাগা আগুনের লেলিহান শিখা কেড়ে নিলো একই পরিবারের ৫ জনসহ ৪৫টি নিরীহ প্রাণ। আগুনে স্বজনহারাদের বুকফাটা আর্তনাদ। এখন পর্যন্ত ৩১ জনের মরদেহ হস্তান্তর। দগ্ধ ১৩ জনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। আগুনে হতাহতের ঘটনায় শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী।
স্বজন হারানোর এই আহাজারি পৃথিবীর কোনো সান্ত্বনা দিয়ে ভোলানোর মতো নয়। সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবার রাতে পরিবার পরিজন নিয়ে বেইলি রোডের গ্রীন কোজি কটেজে একটু ভালো সময় কাটাতে গিয়েছিলেন যারা, তাদের মধ্যে ৪৫ জন হারিয়েছেন প্রাণ। সেই শোক আর আর্তনাদে স্তব্ধ ঢাকা মেডিকেল ও শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইন্সটিটিউট।
ইতালির গ্রীন কার্ড পেয়েছিলেন সৈয়দ মুবারক। আর এক সপ্তাহ পর পরিবার সমেত পাড়ি দেয়ার কথা ছিল ইউরোপের দেশটিতে। দেশে শেষবারের মতো স্ত্রী, দুই মেয়ে এবং এক ছেলেকে নিয়ে নৈশভোজে গিয়েছিলেন ‘কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে’। অগ্নিকাণ্ডে নির্মূল হয়ে গেল পুরো পরিবার।
ড্যাফোডিল ইউনিভিার্সিটির সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে স্নাতক শেষ করেছিলেন তুষার হাওলাদার। সপ্তাহ খানেক পর গায়ে গাউন জড়িয়ে সমাবর্তনে অংশগ্রহনের কথা ছিল তার। কিনেছিলেন নতুন জুতাও। কিন্তু নিমিষেই সব স্বপ্ন মিশে গেল মাটির সঙ্গে।
মৃত ৪৫ জনেরই এমন কোনো না কোনো ঘটনা রয়েছে। আর এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৮ জন। যাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
আর ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ঘটনাটিকে দু:খজনক উল্লেখ করে বললেন, আইন মেনে তৈরি হয় না দেশের হোটেল-রেস্তোরাঁ। এ ঘটনার পেছনে প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করা হবে।