শুক্রবার (১৬ আগষ্ট ২০২৪) সন্ধ্যায় পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলার ফৈলজানা ইউনিয়নের সোহাগবাড়ী গ্রামে মারামারি সংগঠিত হয় মোঃ জিয়াউর রহমান জিয়া গং ও মোঃ সাইদুল ইসলাম গং এর মধ্যে। ইতিপুর্বে অসংখ্যবার দরবার সালিশ করেও দুই গ্রুপের মধ্যে জমির বিষয়ে মীমাংসা করতে পারেনি মাতব্বর প্রধান বর্গ ও লোকজন।
উল্লেখ্য প্রয়াত ইলবাজ উদ্দিন প্রামানিকের পুত্র মোঃজিয়াউর রহমান ও মৃত গঞ্জের আলী গুদু প্রামানিকের ছেলে মোঃ সাইদুল ইসলাম উভয়েই বিএনপির কর্মী হওয়ায় তাদের মধ্যকার বিরোধ পুঞ্জীভূত হতেই থাকে বর্তমানে তাদের উভয় গ্রুপই রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে শক্তিশালী ভুমিকায় অবতীর্ণ হয়।
আরো উল্লেখ্য এই যে, মোঃ জিয়াউর রহমানের কাছে থেকে কয়েক বছর পুর্বে সাইদুল ইসলাম সুদের উপর টাকা নেয় ও ঋনে জর্জরিত হয়ে বাড়ী ছাড়া হয় জিয়াউর রহমানের বক্তব্য আমার পাওনা টাকা দিতে না পারার কারনে সাইদুল ইসলাম আমাকে তার বাড়ী লিখে দেয় অপর দিকে সাইদুল ইসলামের বক্তব্য আমি সুদের টাকা যথা সময়ে দিয়েছি, আমার কাছে কিছু টাকা পেতো আমাকে রুমে আটকে রেখে মৃর্ত্যুর ভয় দেখিয়ে আমার কাছ থেকে জোর পুর্বক আমার বাড়ীর পালান লিখে নেয়।
কিছুদিন পরে জিয়া বলে, আমি নাকি তাকে পাকা ঘর সহ বাড়ী লিখে দিছি। সাইদুল ইসলাম আরো বলেন, কেউ কি তার বসত বাড়ী অন্য জমি থাকতে স্বেচ্ছায় অপর কাউকে ঋনের জন্য লিখে দেবে কোন দিন না তা কখনো কোন পাগলেও দিবেনা! জিয়া লিখে নেওয়া বাড়ী দখলে নেয়।
সাইদুল ইসলাম বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন লোকজনের দ্বারস্থ হয় বাড়ী ফেরাতে, অবশেষে তার বসত বাড়ীতে (জিয়ার দখলে থাকা) উঠে পড়লে (দখলে নিলে) বিষয়টি থানা পুলিশ পর্যন্ত গড়ায় থানা পুলিশের উদ্যোগে মীমাংসা বৈঠকে মোঃ সাইদুল ইসলামকে তেরো লক্ষ টাকা জিয়াকে দিবে ও বাড়ী ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হলেও জিয়াউর রহমান সাইফুল ইসলামের বসত বাড়ী ফিরিয়ে দিতে অস্বীকার করে।
মাঝে মধ্যেই ঐ বসত বাড়ী নিয়ে উত্তেজনা কর পরিস্থিতি তৈরী হয়। তারই প্রেক্ষিতে শুক্রবার মারামারি সংগঠিত হয়। মারামারিতে প্রয়াত মোহাম্মদ আলী মোহাম প্রামানিক এর চার পুত্র হেলাল উদ্দিন (৪০) সহ আব্দুল ওয়াহেদ(৪৭),বাবলু প্রামানিক (৩৮), আবুল মাজন(৩৬) ও প্রয়াত আজাদ হোসেনের জৈষ্ঠ পুত্র মোঃ খলিলুর রহমান(৪০) গুরুতর আহত হন।
আহতদের মধ্যে হেলাল উদ্দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় পাবনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন বাবলু প্রামাণিক আশংকা মুক্ত , তার মাথায় অনেক গুলো সেলাই পড়েছে।
আঃ ওয়াহেদ, আবুল মাজন ও খলিলুর রহমান আশংকা জনক অবস্থায় পাবনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এখনও চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নিহত হেলাল উদ্দিন এর মৃতদেহ সোহাগবাড়ী (নিহতের বাসভবনে) আনা হলে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে শনিবার বিকেল ৫:৩০ হিড়িন্দা গোরস্থানে জানাযা শেষে দাফন করা হয় এখন পর্যন্ত কোন মামলা রুজু করা হয়নি। প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।