কিশোরগঞ্জের চাঞ্চল্যকর সালেহা বেগম হত্যা মামলার পলাতক দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭ সিপিসি-১ ও ২ এবং র্যাব-১৪, সিপিসি-২ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের যৌথ আভিযানিক দল।
গ্রেফতার দুইজনের মধ্যে জহিরুল ইসলাম (৩২) কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার শেওড়া কর্শাকড়িয়াইল এলাকার আব্দুল জলিলের ছেলে ও মো. রাসেল (২৭) একই এলাকা ও পিতার ছেলে। এরা সম্পর্কে আপন দুই ভাই।শনিবার,১ ফেব্রুয়ারি বেলা আড়াইটার কিছু আগে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম জেলার জোরালগঞ্জ থানাধীন বারৈইয়ারহাট বাজার ও জামালপুর এলাকা হইতে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সাংবাদিক দের বিষয়টি জানান, র্যাব-১৪, সিপিসি-২ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের মিডিয়া অফিসার (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার) জুয়েল চাকমা।মামলার বরাত দিয়ে তিনি আরো জানান,কিশোরগঞ্জ জেলার সদর থানায় বাদি মো. বাবুল মিয়ার (৪২) দায়ের করা এজাহার পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, গত বছরের ১ নভেম্বর বিকাল অনুমান ৩টার দিকে আসামি মো. শাহআলম গং পূর্ব বিরোধের জের ধরে দেশীয় অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বেআইনী জনতাবদ্ধে বাদির বাড়িতে অনধিকার প্রবেশ করে বাদিসহ বাদির ভাই ভিকটিম বাচ্চু মিয়া ও বাদির মা ভিকটিম সালেহা বেগমকে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে এবং বাড়িঘর ভাংচুর করে। এ সময় ভিকটিমদের ডাক- চিৎকারে আশপাশের লোকজনের ঘটনাস্থলে এসে তাদেরকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য প্রথমে কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও পরবর্তীতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসারত অবস্থায় ভিকটিম সালেহা বেগম মারা যান।
ওই ঘটনায় নিহতের ছেলে মো. বাবুল মিয়া বাদি হয়ে কিশোরগঞ্জ জেলার সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করে । ঘটনার পর র্যাব-১৪ সিপিসি-২ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্প ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে কার্যক্রম গ্রহণ করে।এরই ধারাবাহিকতায় তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামিদের অবস্থান চিহ্নিত করে আসামিদের গ্রেফতার করা হয়।গ্রেফতার আসামিদের কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।