ঢাকা | বঙ্গাব্দ

গণরুম ও গেস্টরুম কালচার বাতিলসহ ইবি ছাত্রশিবিরের শতাধিক দাবিগণরুম ও গেস্টরুম কালচার বাতিলসহ ইবি ছাত্রশিবিরের শতাধিক দাবি

  • আপলোড তারিখঃ 02-12-2024 ইং |
  • নিউজটি দেখেছেনঃ 81249 জন
গণরুম ও গেস্টরুম কালচার বাতিলসহ ইবি ছাত্রশিবিরের শতাধিক দাবিগণরুম ও গেস্টরুম কালচার বাতিলসহ ইবি ছাত্রশিবিরের শতাধিক দাবি ছবির ক্যাপশন: স্বাধীন ৭১
LaraTemplate

গণরুম ও গেস্টরুম কালচার বাতিলসহ কাঙ্খিত ক্যাম্পাস বিনির্মাণের লক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট শতাধিক দাবি জানিয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রশিবির। শনিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২ টায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বরাবর স্মারকলিপি জমা দেয় সংগঠনটির নেতারা।


পরবর্তীতে বেলা ২ টায় টিএসসিসির ১১৬ নং কক্ষে প্রেস ব্রিফিং করেন শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি এইচ এম আবু মুসা। এসময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সেক্রেটারি মু.মাহমুদুল হাসান এবং দপ্তর সম্পাদক ইউসুফ আলী।


তাদের উল্লেখযোগ্য দাবিগুলো হলো, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট যেসকল ছাত্র-শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে গণহত্যার পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলো তাদেরকে চিহ্নিত করে অতিদ্রুত একাডেমিক, প্রশাসনিক ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ২০১২ সালে গুমের শিকার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই মেধাবী শিক্ষার্থী ওয়ালিউল্লাহ ও আল মুকাদ্দাসের সন্ধান পেতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ ও গুমের সাথে জড়িতদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে। গত ১৬ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ে হিজাব-নিকাব ইস্যুতে ছাত্রীদের সাথে আক্রমণাত্মক আচরণসহ ইসলামবিদ্বেষী কার্যক্রমের সাথে জড়িতদেকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। বিগত ১৬ বছরে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।


ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের যে সকল স্থাপনা ও ফলক ফ্যাসিবাদের আইকনদের নামে নামকরণ করা হয়েছে তা অবিলম্বে পরিবর্তন করতে হবে। নির্মাণাধীন হলগুলোর নামকরণ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য-উদ্দেশ্যের সাথে সামঞ্জস্যশীল মনীষীদের নামে অথবা জুলাই বিপ্লবের শহীদদের নামে করতে হবে।জুলাই বিপ্লবে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে স্মরণীয় করে রাখতে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে একটি কর্ণার ও সংগ্রহশালা গড়ে তুলতে হবে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষণের জন্য থানা গেইটে প্রতিষ্ঠা প্রঙ্কর ঘিরে দৃষ্টিনন্দন ইবি মিউজিয়াম গড়ে তুলতে হবে। যেখানে ট্যুরিস্টদের জন্য একটি ছোট মসজিদ থাকবে। মিউজিয়াম এরিয়ায় ইবির ঐতিহাসিক বস্তুসমূহ (যেমন: পুরনো গাড়ি, তৈজসপত্র প্রভৃতি) সংরক্ষণ করতে হবে। ক্যাম্পাসে শতভাগ শিক্ষার্থীর আবাসন নিশ্চিতকল্পে দৃশ্যমান ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। ডোপ টেস্ট করে শিক্ষার্থীদের হলে আবাসন নিশ্চিত করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন করে গণরুম-গেস্টরুম কালচার চিরতরে বিলুপ্ত করতে হবে। আবাসিক শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে রিডিং রুম, লাইব্রেরির পরিসর বৃদ্ধি ও পড়াশোনার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। হলে ইন্টারনেট সেবা ও খাবারের মান উন্নতকরণ এবং সুপেয় পানির ব্যবস্থা করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সংবিধিতে অন্তর্ভুক্ত ইসলাম ও তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব অনুষদ অনতিবিলম্বে খুলতে হবে। পাশাপাশি কৃষি অনুষদ বৃদ্ধিসহ অন্যান্য অনুষদসমূহে যুগোপযোগী বিভাগ চালু করতে হবে। বিভাগসমূহে প্রয়োজনের আলোকে পর্যাপ্ত যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে এবং সকল শিক্ষককে রুটিন অনুযায়ী নিয়মিত ক্লাসে যোগদান বাধ্যতামূলক করতে হবে। সকল বিভাগের জন্য পর্যাপ্ত ক্লাসরুম বরাদ্দ দিতে হবে। সেশনজট নিরসনে   একাডেমিক ক্যালেন্ডার বাধ্যতামূলক অনুসরণ করতে হবে। সকল বিভাগে শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা সকাল ৯.৩০ মিনিট থেকে শুরু করতে হবে এবং ক্লাস চলাকালীন দুপুর ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত নামায ও মধ্যাহ্নভোজের বিরতি কার্যকর করতে হবে। পরীক্ষার অন্তত ৭ (সাত) দিন পূর্বে টিউটোরিজল ও ক্লাসে উপস্থিতির নম্বর নোটিশ বোর্ডে ঝুলিয়ে দিতে হবে। সকল বিভাগে ছাত্রীদের জন্য কমনরুম ও নামাজের জন্য রুম বরাদ্দ দিতে হবে। শারীরিক প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য প্রয়োজনীয় সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।


নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ স্বাধীন ৭১

সর্বশেষ সংবাদ
notebook

কয়রার দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীর সহযোগিতায় জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন