ঢাকা | বঙ্গাব্দ

কয়রা কপোতাক্ষ ডিগ্রি মহাবিদ্যালয়ের প্রিন্সিপাল অদ্রিস আদিত্য র পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

  • আপলোড তারিখঃ 12-08-2024 ইং |
  • নিউজটি দেখেছেনঃ 210585 জন
কয়রা কপোতাক্ষ ডিগ্রি মহাবিদ্যালয়ের প্রিন্সিপাল অদ্রিস আদিত্য র পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ছবির ক্যাপশন: স্বাধীন ৭১
LaraTemplate

খুলনার  কয়রা উপজেলার সদরে অবস্থিত কপোতাক্ষ ডিগ্রি  মহাবিদ্যালয়ের প্রিন্সিপাল  অদৃশ্য আদিত্য মন্ডলের  পদত্যাগের দাবিতে  সকল শিক্ষার্থীগণ (আজ ১২ ই আগস্ট) মানববন্ধন ও র‍্যালি  করেন।  কয়রা কপোতাক্ষ মহাবিদ্যালয়ের বৈষম বিরোধী শিক্ষার্থী ও শিক্ষকগণ এক দফা এক দাবি প্রিন্সিপালের  পদত্যাগ। তারা বলেন  দুর্নীতিবাজ, মাদকাসক্তও  অত্যাচারিত  প্রিন্সিপাল আমরা চাইনা। 



তার বিরুদ্ধে ইতি পূর্বে  অনেকগুলো অভিযোগ  বিদ্যমান রয়েছে। গত ১৭ই জানুয়ারি ২০২৪  কল্যাণ ট্রাস্ট ও অবসর ভাতা ছাড় করতে অধ্যক্ষের দাবীকৃত ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন অবসরে যাওয়া সহকারী অধ্যাপক। এতে কিল-ঘুষি মেরে ঠোঁট ফাটিয়ে রক্তাক্ত করাসহ হেনস্তার অভিযোগ উঠেছিল ওই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ অদ্রিস আদিত্য মণ্ডলের বিরুদ্ধে।



 ভুক্তভোগী, প্রত্যক্ষদর্শী ও উক্ত প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের সূত্রে জানা যায়, কয়রা কপোতাক্ষ ডিগ্রি মহাবিদ্যালয়ের সদ্য অবসরে যাওয়া সহকারী অধ্যাপক দেবদুলাল তরফদার। গত ১৭ জানুয়ারি  বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে তিনি তার অবসরের কাগজপত্র সই করানোর জন্য অধ্যক্ষ অদৃশ আদিত্য মণ্ডলের অফিসকক্ষে যান। সেখানে অবসরজনিত কাগজ ছাড় করতে অধ্যক্ষের কাছে অনুরোধ করলে অধ্যক্ষ অদৃশ আদিত্য মণ্ডল উক্ত শিক্ষকের কাছে পঞ্চাশ হাজার টাকা দাবি করেন। 


ভুক্তভোগী শিক্ষক অধ্যক্ষকে আগে ২০ হাজার টাকা দিয়েছেন, সেটাতেই ছাড়িয়ে দিতে কাকুতিমিনতি করেন।



এ সময় ক্ষিপ্ত হয়ে অধ্যক্ষ ওই শিক্ষকের মুখমণ্ডল বরাবর কিল-ঘুষি মারলে ফ্লোরে পড়ে যান তিনি।


অধ্যক্ষ সেখান থেকে ভুক্তভোগী শিক্ষকের পরিহিত কোর্টের কলার ধরে টেনে তুলে পুনরায় মারধর করেন। এ সময় কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরা এসে অধ্যক্ষের হাত থেকে তাঁকে ছাড়িয়ে নেন। এতে ভুক্তভোগী শিক্ষকের পরিহিত কোট ছিঁড়ে যায় এবং তার মুখমণ্ডল রক্তাক্ত জখম হয়।


 

এর আগে গত ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে দেবদুলাল তরফদার অবসর গ্রহণ করেন। নিয়ম অনুযায়ী তার অবসরজনিত সব কাগজপত্র কলেজের অধ্যক্ষ ও সভাপতির স্বাক্ষর যুক্ত করে বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী অবসর কল্যাণ সুবিধা বোর্ড ও কল্যাণ ট্রাস্ট বোর্ডে প্রেরণ করতে হয়। 


সব শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর প্রিয় শিক্ষক সদ্য অবসরপ্রাপ্ত সহকারী অধ্যাপক দেবদুলাল তরফদার তার সব কাগজপত্র প্রস্তুত করে অধ্যক্ষের স্বাক্ষরের জন্য দীর্ঘদিন যাবৎ ঘুরতে থাকেন। ঘুষের টাকা ছাড়া তার কাগজপত্র স্বাক্ষর হবে না বিষয়টি বুঝতে পেরে বিষয়টি তিনি উক্ত প্রতিষ্ঠানের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা  মো. কামাল হোসেন ও উপজেলা চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলামসহ বিভিন্ন উচ্চপদস্থ ব্যক্তিকে জানান। 


কলেজের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান তাকে কলেজে হাজির হয়ে কাগজপত্র অধ্যক্ষের কাছে  স্বাক্ষরের জন্য উপস্থাপন করতে বললে তিনি যথানিয়মে ঘটনার দিন সকালে কলেজে হাজির হয়ে অধ্যক্ষকে তার কাগজপত্র প্রস্তুতসহ স্বাক্ষরের জন্য অনুরোধ করলে এ ঘটনা ঘটে।


এ সময়  কলেজ অভ্যন্তরে ও গেটের বাইরে কলেজ শিক্ষক-কর্মচারী ও সাধারণ মানুষের হাঁক-চিৎকার ও শোরগোল দেখা দেয়, ফলে স্থানীয় সাংবাদিক, সুধীজন ও সরকারের গোয়েন্দা বিভাগের লোকজন সেখানে হাজির হন। 


এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কয়রা কপোতাক্ষ মহাবিদ্যালয় ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ অদৃশ আদিত্য মণ্ডল ঘুষের টাকা চাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ওই শিক্ষকের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলাম।  মারধরের বিষয়ে বলেন, আমি তাকে মারধর করিনি, বরং উনি আমাকে মারতে এগিয়ে আসেন এবং উচ্চৈঃস্বরে  বিভিন্ন অশ্লীল কথাবার্তা বলতে থাকেন। 


এসব প্রেক্ষাপটকে কেন্দ্র করে দিন দিন সাধারণ শিক্ষার্থী মধ্যে বেশ মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। তার পরিপেক্ষিতে সকল শিক্ষার্থীগণ একত্রিত হয়েতার পদত্যাগের জন্য জোরালো দাবি জানাই।


নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ মোঃ রিপন আহমেদ

সর্বশেষ সংবাদ
notebook

কয়রার দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীর সহযোগিতায় জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন