বর্তমান সময়ে দেশের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে বাংলাদেশ ইসলামী শিবিরের কমিটি ঘোষিত হচ্ছে হয়েছে, এছাড়াও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলও তাদের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করেছে তবে কি ছাত্র রাজনীতি আবার আগের সেই অস্থিরতাময় সময় তৈরী করতে চাচ্ছে নাকি আবার আগের রুপ ফিরে যাচ্ছে এ ধরনের প্রশ্ন আজ ঘুরপাক খাচ্ছে অনেক সচেতন অভিভাবকের মনেই দুঃচিন্তার জানালাও উঁকি দিচ্ছে মাঝে মাঝে অজানা সংকেতে।
বাংলাদেশ আমাদের সকলের প্রিয় মাতৃভূমি এ দেশটির শিক্ষাঙ্গন গুলোতে বিগত দিনে যে আধিপত্যবাদের সুচনা শুরু হয়েছিলো তা যেনো সকলের দৃষ্টিতে ভোরের আলোর মতই স্বচ্ছ। আজ কাল আবারও ছাত্র রাজনীতির সংস্পর্শে দুঃসহ দৃষ্টান্তে পরিণত হবে, হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় গুলো এ দেশের সকল অভিভাবক, বাবা-মায়ের প্রতি আমার করজোড় বিনীত অনুরোধ,আপনারা আপনাদের সন্তানকে।
ছেলে-মেয়েদেরক কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার পর ছাত্র রাজনীতির সাথে যুক্ত হতে দেবেন কিনা তা ভেবে দেখুন রাজনীতি হলো এক ধরনের চর্চা, আর সেই চর্চার মসৃন পথ তৈরী করে ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষার্থীরা! এখন প্রশ্ন হচ্ছে যে, আপনার সন্তান শিক্ষা গ্রহন করতে গিয়ে রাজনীতি করবে কি করবেনা, সেটা আপনার বা আপনাদেরকে নির্ধারণ করতে হবে ভেবে-চিন্তে।
ভবিষ্যতে আপনার ছেলে রাজনীতিবীদ হতে চাইলে সেই পথও আপনাকে বর্তমানে ঠিক করে দিতে হবে নচেৎ আপনার ছেলে-মেয়ে পড়ালেখা করার পাশাপাশি কোথায় যাচ্ছে, কি করছে সেটি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ আপনাকেই করতে হবে।
একজন শিক্ষার্থী যখন কোনো রাজনৈতির দলের সাথে যুক্ত হয়, তখন সেই শিক্ষার্থীর শিক্ষা ও নৈতিক উন্নয়নের জায়গা সংকীর্ণ হয়ে পড়ে। তখন সেই শিক্ষার্থীর রাজনীতির ধোঁয়াশাচ্ছন্ন অন্ধকার গলিতে ডুবে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে যা কোন অভিভাবকেরই কাম্য নয়।
ইতিমধ্যেই আমরা স্বচক্ষে বিভিন্ন অপকর্মের সাথে ছাত্র রাজনীতির নাম জড়াতে দেখেছি ও শিখেছি, যা আমাদের দেশের, সমাজের, শিক্ষাঙ্গনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ এবং শিক্ষার মূলক নীতি আদর্শকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে, পক্ষান্তরে ধ্বংস করেছে।
আপনারা অভিভাবক হয়ে যদি এ বিষয়ে সচেতন না হন এবং সন্তানদের সঠিক নির্দেশনা মত ও পথ বলে না দেন, তাহলে তারা অনায়াসেই কলংকিত ছাত্র রাজনীতির সংস্পর্শে জড়িয়ে যাবে ও অপরাধের পথে পা বাড়াবে বা বাড়াতে পারে ।
ভবিষ্যতে যদি (২০১৩---২০২৪ সালের) ছাত্রলীগ বা অন্য কোনো রাজনৈতিক গোষ্ঠীর মতো অপকর্মে যুক্ত হওয়ার প্রবণতায় জড়িয়ে পড়ে বা জড়াতে দেখা যায়, তবে তাদের জন্য শাস্তির দাবি না জানিয়ে বুক চাপড়াতে হবে।
আজকের সিদ্ধান্তহীনতার দায় থেকে সেই দিন আর নিজেদেরকে ক্ষমা করা সম্ভব হবে না আপনাদের সেদিন সন্তানদের সাথে অবহেলা মুলক আচরনের জন্য নিজেদেরকেও দায়ী করতে হবে। আপনারাও আপনাদের সন্তানদের মতোই সমান অপরাধী হবেন।
সন্তানদের শিক্ষার পথ নিশ্চিত করতে, তাদেরকে সঠিক দিকনির্দেশনা দিতে এগিয়ে আসুন তাদের সামনে। সম্মিলিত ভাবে আমরা আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোর বিসর্জিত গৌরব ও আদর্শ পুনরুদ্ধার করতে নূন্যতম আন্তরিকতা দিয়ে চেষ্টা করে দেখতে পারি! যদি সম্মিলিত প্রয়াসে একাত্মতা প্রকাশ করে অগ্রসর হতে পারি তবে আপন আপন সন্তানের নিরাপত্তা বিধান আমরা অনায়াসেই করতে পারবো ও বাদ বাকি আল্লাহর উপর ভরসা রেখে এগিয়ে যাবো সফলতা আসবে ইনশাআল্লাহ।