ঢাকা | বঙ্গাব্দ

এ যেন আরেক মিন্নি প্রেমের ফাঁদে ফেলে ব্যবসায়ীর ১০ লাখ টাকা আত্মসাৎ

  • আপলোড তারিখঃ 03-09-2024 ইং |
  • নিউজটি দেখেছেনঃ 181757 জন
এ যেন আরেক মিন্নি প্রেমের ফাঁদে ফেলে ব্যবসায়ীর ১০ লাখ টাকা আত্মসাৎ ছবির ক্যাপশন: স্বাধীন ৭১
LaraTemplate

প্রথমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পরিচয়। সেই পরিচয় থেকে প্রতিদিন একটু একটু করে কথা বলে  প্রেমের ফাঁদে ফেলা হয়। প্রেমের ফাঁদ থেকে কথা দেওয়া হয় বিয়ের। সে বিয়ে করবে বলে তার কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। হাতিয়ে নেয় স্মার্টফোন সহ নানা উপহার । সরল মনে বিয়ের কথা চিন্তা করে মেয়ে ও তার মায়ের কথায় তাদের হাতে টাকা তুলে দেয় এক ব্যবসায়ী । এভাবেই প্রতারণার ফাঁদে ফেলে ব্যবসায়ীর  কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় মা-মেয়ের চক্রটি।

এরকম এক ব্যবসায়ীর সাথে ফেইসবুকে পরিচয় হয় কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা থানার বাসিন্দা আবুল কাশেম এর মেয়ে হোসনা আক্তার বৃষ্টি সাথে, এর সূত্র ধরে পরিবারের সকল সদস্যের সাথে আন্তরিকতা তৈরি হয় ঐ ব্যবসায়ীর ৷ এরই মধ্যে মেয়ে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করতে থাকেন ওই ব্যবসায়ীর সাথে, বিভিন্ন জায়গায় তাদের নিয়মিত সাক্ষাৎ হয় । কিছুদিনের মধ্যেই মেয়ে বিয়ে করবে বলে আশস্ত করে ব্যবসায়ীকে।  নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঐ ব্যবসায়ী সরল মনে রাজি হওয়ার পর থেকে মেয়ে, তার মা এবং পরিবারের অন্য সদস্যরা ব্যবসায়ীকে নানাভাবে ম্যানেজ করে বিভিন্ন সমস্যার কথা বলে বিভিন্ন সময় প্রায় ৩/৪ লাখ টাকা ও বিভিন্ন উপহার হাতিয়ে নেয় ৷ 

এর বাইরে ও বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে মাসে মাসে টাকা নিত ওই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে৷ একটা সময় পর্যন্ত সবই ঠিকঠাক চলছিল কিন্তু বিপত্তি বাধে যখন ঐ ব্যবসায়ী বিয়ে চাপ দেয় ৷ এরপর থেকেই আবুল কাশেম এর পুরো পরিবার মোবাইল নাম্বার পরিবর্তন করে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়  এবং  অন্যত্র মেয়ের বিয়ে দেওয়ার জন্য তরিগরি শুরু করে৷ এমন অবস্থায় মানসিক ও অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত  হয়ে ওই ব্যবসায়ী এবং টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে চেষ্টা করতে থাকে৷ এক পর্যায়ে মেয়ের পরিবার কিছু উপহার সামগ্রী ফেরত দিতে চাইলেও টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। 

ওই ব্যবসায়ী খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন এই মেয়ে আরো ৫/৬ জনকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।  

সর্বশেষ প্রতারণার শিকার ব্যবসায়ী রায়টুটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে  বিষয়টি অবহিত করে এবং তার নিজ এলাকা চেয়ারম্যান সহ সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে প্রয়োজনীয় প্রমান সহ অবহিত করেন। 

এই প্রতিবেদক বিষয়টি নিয়ে বৃষ্টির মায়ের সাথে কথা বললে তিনি টাকা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করলে ও টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে অনীহা প্রকাশ করেছে।এব্যাপারে ব্যবসায়ী বলেন তার সাথে কথা হলে মেয়ের মা এবং মেয়ে নানাভাবে নানা কথায় টাকা দেবে না বলেই তাকে বুঝিয়ে দেয়। এব্যাপারে কিশোরগঞ্জ  জেলা পুলিশ সুপার এবং ইটনা থানা পুলিশের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ওই ব্যবসায়ী ।


নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ স্বাধীন ৭১

সর্বশেষ সংবাদ
notebook

কয়রার দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীর সহযোগিতায় জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন