ঢাকা | বঙ্গাব্দ

ইবি শিক্ষকের অপসারণ চেয়ে বিক্ষোভ, প্রধান ফটকে তালা

  • আপলোড তারিখঃ 07-10-2024 ইং |
  • নিউজটি দেখেছেনঃ 141743 জন
ইবি শিক্ষকের অপসারণ চেয়ে বিক্ষোভ, প্রধান ফটকে তালা ছবির ক্যাপশন: স্বাধীন ৭১
LaraTemplate

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি), ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হাফিজুল ইসলামের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা রবিবার (০৭ অক্টোবর) দুপুর ১টায় রবীন্দ্র-নজরুল কলা ভবনের সামনে বিক্ষোভ শুরু করে তারা। পরে প্রধান ফটকে তালা দিয়ে দুপুর ২টায় কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মুখী বাস আটক করেন শিক্ষার্থীরা। 


প্রায় দেড় ঘন্টা প্রধান ফটক অবরোধের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মাদ নসরুল্লাহ'র সাথে আলোচনায় বসেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা এর আগে প্রধান ফটক অবরোধকালে প্রক্টর ড. শাহীনুজ্জামান, সহকারী প্রক্টর ড. আব্দুল বারী ও ড. খাইরুল ইসলাম উপস্থিত হন এসময় প্রক্টরিয়াল বডি শিক্ষার্থীদের মধ্য হতে ১০-১২জন প্রতিনিধির সাথে আলাপের প্রস্তাব দিলে তা প্রত্যাখান করে শহরমুখী বাসগুলো আটকে দেয় তারা।


মেয়ে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, 'সহকারী অধ্যাপক হাফিজুল ইসলাম, মেয়ে শিক্ষার্থীদের পোশাক, পরিবার ও চেহারা নিয়ে প্রতিনিয়ত বাজে মন্তব্য করেন এসময় শিক্ষার্থীরা হাফিজ হটাও, ডিএস বাঁচাও, হাফিজের দুই গালে জুতা মারো তালে তালে সহ নানা স্লোগান দিতে থাকেন।


শিক্ষার্থী লামিয়া হোসেন জানান,  'আমি প্রতিনিয়ত আতঙ্কে থাকতাম। আমি কি পোশাক পড়বো, কোথায় যাবো, কি খাবো, সেই স্বাধীনতাটুকু তিনি কেড়ে নিয়েছিলেন দুইদিন বিভাগে না যাওয়ায় আমাকে ফ্যানে ঝুলিয়ে পিটাতে চেয়েছেন বিভাগের মেয়েদের ওপেনে গালিগালাজ করেন। মেয়েদের মালি বলে সম্বোধন করেন।


বিভাগের ছাত্র হৃদয় জানান, একজন শিক্ষক কখনো অন্যের ব্যক্তিগত বিষয়ে মেন্টালি অ্যাটাক করতে পারেনা না কিন্তু তিনি সকল শিক্ষার্থীর সাথে, কোথায় থাকবো, কোথায় আড্ডা দেবো, কোন হলে থাকবো, এসব নিয়ে বাড়াবাড়ি করতেন।


বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, আজ তাদের অভিযোগগুলো শুনেছি আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি কমিটি গঠন করে তদন্ত সাপেক্ষে উপর্যুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।


অন্যদিকে সহকারী অধ্যাপক হাফিজুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।


নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ মোঃ রিপন আহমেদ

সর্বশেষ সংবাদ
notebook

কয়রার দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীর সহযোগিতায় জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন