ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) লালন শাহ হলের গণরুম বাতিল করা সহ হলের সিট সংক্রান্ত নানা সিদ্ধান্ত নিয়েছে হল কর্তৃপক্ষ। রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) হলটির প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আকতার হোসেন স্বাক্ষরিত নোটিশে এসব সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
নোটিসে বলা হয়েছে, লালন শাহ হলের গণরুম সম্পূর্ণভাবে বাতিল করা হলো। প্রতি রুমে সীটের অতিরিক্ত ছাত্র অবস্থান এবং আবাসিকতা ব্যতিত কোন ছাত্র হলে অবস্থান করতে পারবে না এছাড়াও অন্য হলের ছাত্র এই হলে অবস্থান করতে পারবে না।
নোটিশে আরো বলা হয়, যে সকল ছাত্রের মাস্টার্স পরীক্ষা ইতোমধ্যে শেষ তাদেরকে কক্ষ ত্যাগ করার জন্য বলা হলো আবাসিক ছাত্র ব্যতিত অনাবাসিক ছাত্র যদি অবস্থান করে হল প্রশাসন তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
এ বিষয়ে হলটির প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আাকতার হোসেন বলেন, এতোদিন হলে র্যাগিং সহ বিভিন্ন অপকর্ম গণরুমে বসে হতো। আমরা এর আগেও চেষ্টা করছি গণরুম বাতিল করার জন্য কিন্তু বাতিল করা সম্ভব হয়নি। এখন সুযোগ আসছে তাই গণরুম সম্পুর্ন বাতিল করে দিয়েছি আর গণরুমে মধ্যে কয়েকটা আছে হাউজ টিউটরদের কক্ষ যেহেতু ঐ রুমে টিউটররা থাকে না তাই এই রমে শিক্ষার্থীদের জন্য সিট দিবো। গণরুমে এতোদিন ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত শিক্ষার্থী থাকতো। এখন আমরা সব গণরুমে নির্দিষ্ট সিট দিবো ঐ সিটে আবাসিকতা নিয়ে শিক্ষার্থীরা থাকতে পারবে।
এদিকে এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে অবস্থানরত অন্য হলের শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এছাড়াও আবাসিক শিক্ষার্থীদের নিজ নামের বরাদ্দকৃত সীটে অবস্থানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
হল কর্তৃপক্ষের এক নোটিশে বলা হয়, দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের সকল আবাসিক ছাত্রীদের নিজ নামের বরাদ্দকৃত সীটে অদ্য ৭ সেপ্টেম্বর হতে আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হলে অবস্থান করতে বলা হলো এবং বহিরাগত ছাত্রীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হলো।
হলটির সহকারী রেজিস্ট্রার রাজ্জাক হোসেন বলেন, নিজ বরাদ্দকৃত সিটে ছাত্রীদের অবস্থান করতে বলা হয়েছে। অনেকে অন্য হল এটাস্ট ছাত্রীরা শেখ হাসিনা হলে আছেন তাদেরকে হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।