নড়াইল সদর ও লোহাগাড়া থানার যৌথ অভিযানে নাশকতা মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান আশিষ সহ তিনজন গ্রেফতার।
নড়াইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার মিছিলে গুলি, বোমা বিস্ফোরণ ও হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া পৃথক মামলায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ আওয়ামী লীগে ও সহযোগী অঙ্গসংগঠনের তিন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে সদর থানা পুলিশ।
শুক্রবার (২৩ মে) রাতে জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। শনিবার (২৪ মে) দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন- নড়াইল সদরের কলোড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আশিস কুমার বিশ্বাস, সদর থানা আওয়ামী লীগ সদস্য মির্জাপুর গ্রামের সৈয়দ রিয়াজ আলী এবং হবখালী ইউনিয়নের ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ডুমুরতলা গ্রামের শরিফুল ইসলাম।
নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজেদুল ইসলাম ‘ বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় লোহাগড়া ও নড়াইল সদর থানায় পৃথক মামলায় তিন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।’
জানা যায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে গত বছরের ৪ আগস্ট নড়াইল সদরের মালিবাগ এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। ওই মিছিলে গুলি চালানো, বোমা বিস্ফোরণ ও মারধরের অভিযোগে ১০ সেপ্টেম্বর সদর থানায় মামলা করেন সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্যসচিব ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক শেখ মোস্তফা আল-মুজাহিদুর রহমান পলাশ। ৯০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করা হয়। ওই মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ রিয়াজ আলী এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শরিফুল ইসলামকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
আরও জানা যায়, গত বছরের ৪ আগস্ট সকালে লোহাগড়া উপজেলা পরিষদের গেট সংলগ্ন পাকা রাস্তায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র ও বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করছিলেন। ওই শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতে সশস্ত্র হামলা ও বোমা বিস্ফোরণ ঘটানোর অভিযোগে ১৩ নভেম্বর লোহাগড়া শ্রমিকদল নেতা জাহিদুল আলম(ঝুনু) একটি মামলা দায়ের করেন। ১৩৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৫০ থেকে ৬০ জনকে আসামি করা হয়। ওই মামলায় নড়াইল সদরের কলোড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আশিস কুমার বিশ্বাসকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।