ভোলায় সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ও পুলিশের ভয় দেখিয়ে সাধারণ জনগন, ভুক্তভোগী ও শহরের বৃত্তবানদেরকে বিভিন্ন ভাবে ব্ল্যাকমেইলিং করে মোটা অংকের চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে কথিত সাংবাদিক অনন্ত হাসান মাসুদের বিরুদ্ধে।
গত সোমবার ভোলা সরকারি কলেজ সংলগ্ন ব্যাকবেঞ্চার ক্যাফে নামের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক মোঃ রিয়াজ উদ্দিন এর কাছ থেকে দৈনিক ভোলা টাইমস্ পত্রিকার বার্তা সম্পাদক পরিচয় দিয়ে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা চায় কথিত সাংবাদিক অন্তত হাসান মাসুদ। চাহিদা মোতাবেক চাঁদা না পেয়ে কথিত সাংবাদিক প্রথম ভোলা নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে "টাকার বিনিময়ে পাওয়া যায় যায়গা, ভোলা সরকারি কলেজ শিক্ষার্থীর ভিডিও ভাইরাল" শিরোনামে একটি ভিডিও আপলোড করেন।
বুধবার (১২ জুন) সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় স্থানীয় দোকানদারদের ভিতরে চরম চাপা খুব বিরাজ করছে। দোকানদারদের কাছে জানতে চাইলে তারা সাংবাদিকদের জানান, ভোলার সরকারি কলেজ সংলগ্ন ব্যাকবেঞ্চার নামে রেস্টুরেন্টি বিগত ৩ বছর ধরে সুনামের সাথে ব্যবসা করে আসছে। এ ক্যাফে টি পরিচালনা করেন এতিম একটি ছেলে। যার নাম রিয়াজ উদ্দিন। ছেলেটি অত্যন্ত ভদ্র নর্ম ও ধার্মিক ছেলে। এখন পর্যন্ত কোন প্রকার অভিযোগ ওঠেনি এই ব্যাকবেঞ্চার রেস্টুরেন্টের নামে। গত ১১ জুন প্রথম ভোলা ফেজবুক পেজে ব্যাকবেঞ্চার ক্যাফের নামে যে ভিডিওটি প্রচার করেছে এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট। অনন্ত হাসান মাসুদ নামের সেই সাংবাদিক রিয়াজ এর কাছে গত রোজার ঈদের আগে ১ লক্ষ টাকা চাঁদা চায়। তার কয়েক মাস পর গত সোমবার আবার ও তার কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। মূলত সেই টাকা না দেওয়ায় এই ভিডিও টি আপলোড করে তার ক্যাফে'র নামে চালিয়ে দেয়।
ব্যাকবেঞ্চার ক্যাফে রেস্টুরেন্টের মালিক মোঃ রিয়াজ উদ্দিন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভোলা টাইমস পত্রিকার বার্তা সম্পাদক পরিচয় দিয়ে প্রথমে ১ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। তা না পেয়ে সোমবার আবার ও এসে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। আমি একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আমার পক্ষে কি তাকে ১ লক্ষ বা ৫০ টাকা দেওয়া সম্ভব। চাহিদা মতো সেই টাকা দিতে পারেনি বিদায় সে আমার রেস্টুরেন্টের বিরুদ্ধে একটি আপত্তিকর ভিডিও আপলোড করে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ভোলার বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা দাবী ও আদায়ের অভিযোগ রয়েছে কথিত সাংবাদিক অনন্ত হাসান মাসুদ এর বিরুদ্ধে। সে বিভিন্ন কাল্পনিক তথ্যের সংযোজনে অনুমোদনহীন একটি ফেসবুক পেজ থেকে তার পরিচালিত একটি চক্র দিয়ে বানানো আপত্তিকর ভিডিও ও রেস্টুরেন্টটির বিভিন্ন ফুটেজ দিয়ে অশ্লীল ও আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। বিভিন্ন মহল তার এই আপত্তিকর ভিডিও আপলোডের তীব্র সমালোচনা করেন। সিনিয়র সাংবাদিকগণ বিষয়টিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে সংবাদের অপপ্রচার বলে মনে করছেন।
এ বিষয়ে বিস্তারিত থাকছে দৈনিক ভোলা টাইমস পত্রিকার ধারাবাহিক নিউজে। তার অপরাধের ফিরিস্তি জানতে চোখ রাখুন দৈনিক ভোলা টাইমসে।