আমি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) মতিহার হলের প্রভোস্ট হওয়ার সময়ে হলটি টিনশেডের ছিলো। আমার চেম্বারের ছাদ থেকে বৃষ্টির পানি পড়তো। আমি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং সেকশন কে শতাধিক পত্র দিয়ে দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থায়নে চারটি বিল্ডিং নির্মাণে সক্ষম হই। তার মধ্যে দুটি আবাসিক ভবন, একটি ডাইনিং ও ক্রীড়া রুমের ভবন এবং একটি প্রশাসনিক ভবন সহ মসজিদ। আমি অহংকার না করে নিম্নোক্ত বিষয়ে চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলতে পারি।
১) আমি মতিহার হলের প্রভোস্ট থাকাকালীন একজন অবৈধ আবাসিক ছাত্র ছিলো না। যেদিন রাজনৈতিক প্রভাবে একজন বৈধ ছাত্রকে বহিষ্কার অবৈধ ছাত্র হলে প্রবেশ করেছিলো, আমি অবৈধ ছাত্রকে উচ্ছেদ করে সেদিন বৈধ ছাত্রকে সিটে তুলেছিলাম। কিন্তু তৎকালীন রাবি প্রশাসনের একটি দুষ্ট চক্রের প্রভাবে অবৈধ ছাত্রটি পুনরায় হলে প্রবেশ করায় আমি তার দুই দিন পরে ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ তারিখ সাংবাদিক সম্মেলন করে মতিহার হলের প্রভোস্ট পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলাম (সেদিনের দেশের সকল অনলাইন ও প্রিন্ট মিডিয়ার নিউজ তার স্বাক্ষী)।
২) আমি সিনিয়রিটি, মেধা, ভালো খেলোয়াড় ও অনগ্রসর উপজাতিদের হলে আবাসিকতা দিয়ে কক্ষে তুলে দিতাম। ন্যায্যতার ভিত্তিতে আবাসিকতা প্রাপ্তদের সিটে তুলে দেওয়ার দায়িত্ব আমি পালন করতাম।
৩) আমি হলে মালী দের সঙ্গে থেকে সাত শতাধিক স্থায়ী শোভাবর্ধক গাছ সহ কিছু আম গাছ হলের ফান্ড ব্যবহার করে লাগিয়েছিলাম।
৪) আমি হলের প্রভোস্ট থাকাকালীন মাসিক সম্মানী পেতাম ছয় হাজার টাকা, যা আমি হলের উন্নয়ন সহ হল কর্মচারীদের ওভারটাইম হিসেবে ব্যয় করেছি। এ বিষয়ে কারোও সন্দেহ থাকলে হল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জিজ্ঞেস করে মিথ্যা বললে প্লিজ এই পোস্টের কমেন্ট এ লিখবেন।
৫) আমি মতিহার হলের প্রভোস্ট থাকাকালীন হল ফান্ড থেকে পুরো হলকে ওয়াইফাই, সিসিটিভি ও আইপিএস এর আওতায় আনা সহ মসজিদের উন্নয়ন, সাবমার্সিবল পাম্প বসানো, ক্রীড়া রুমের উন্নয়ন, লক্ষাধিক টাকার বই কিনেছিলাম। ওয়াশরুম পরিস্কার রাখতে আমি নিজে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে নিয়ে ভালো মানের জিনিস ক্রয় করতাম এবং বন্ধের দিন ওভারটাইম দিয়ে পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের কাজ করাতাম। আমি ইচ্ছেকৃতভাবে প্রভোস্ট চেম্বারে এসি লাগানো পরিহার করেছি।
বি:দ্র: এ লেখাটি দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নতুন প্রাধ্যক্ষ হিসেবে যারা রাবিতে নিয়োগ পাবেন ও যোগদান করবেন তাঁদের অনুপ্রেরণা দেওয়া সহ শিক্ষার্থীদের অবৈধভাবে সিট দখল বন্ধের উদ্দেশ্য লেখা।
ছবি: রাবির বর্তমান ও সাবেক মতিহার হল।