ঢাকা | বঙ্গাব্দ

ঝালকাঠি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিন চেয়ারম্যান প্রার্থী হলফনামায় কোটিপতি

  • আপলোড তারিখঃ 15-05-2024 ইং |
  • নিউজটি দেখেছেনঃ 275076 জন
ঝালকাঠি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিন চেয়ারম্যান প্রার্থী হলফনামায় কোটিপতি ছবির ক্যাপশন: স্বাধীন ৭১
LaraTemplate

ঝালকাঠি সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিন প্রার্থী। হলফনামার তথ্য অনুযায়ী তিনজনই কোটিপতি। ২১ মে দ্বিতীয় ধাপে ঝালকাঠি সদর ও নলছিটি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ঝালকাঠি সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনজন। বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খান আরিফুর রহমান, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক সুলতান হোসেন খান এবং সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক নুরুল আমীন খান সুরুজ।


ঝালকাঠি জেলা রিটার্নিং অফিসার কার্যালয়ে জমা দেওয়া নির্বাচনী হলফনামা থেকে জানা যায়, স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তিতে সবচেয়ে এগিয়ে আছে সদর উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল আমীন খান সুরুজ। তার বার্ষিক আয় আট কোটি ১৩ লাখ টাকা। দ্বিতীয় অবস্থানে বর্তমান চেয়ারম্যান খান আরিফুর রহমান। তার বার্ষিক আয় দুই কোটি ৫২ লাখ টাকা। তৃতীয় অবস্থানে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সুলতান হোসেন খানের। তার বার্ষিক আয় এক কোটি ৫৯ লাখ টাকা।


জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শেখেরহাট ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আমিন খান সুরুজের পেশা ঠিকাদার। তার সম্পদ আছে ২২ কোটি ৯৯ লাখ টাকার কৃষিখাত, ব্যবসা, এফডিআর ও সম্মানি ভাতা থেকে তিনি ও তার স্ত্রী, সন্তানদের বছরে আয় আট কোটি ১৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে শুধু ব্যবসা থেকে আয় আট কোটি ১ লাখ টাকা। স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে নিজের জমি, ভবন, বাড়ি ও স্ত্রীর নামে ফ্ল্যাট এবং পৈত্রিক সম্পত্তির মূল্য এক কোটি ৭০ লাখ টাকা অস্থাবর সম্পত্তির ২১ কোটি ৬০ লাখ টাকার তার স্ত্রী এক কোটি দুই লাখ টাকার সম্পদের মালিক।


উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খান আরিফুর রহমানের সম্পদ আছে ১৫ কোটি ৫৬ লাখ টাকার। কৃষি, বাসাভাড়া, ব্যবসা, ব্যাংক আমানত, সঞ্চয়পত্রের লভ্যাংশ থেকে তার বছরে আয় এক কোটি ৬ লাখ টাকা এবং স্ত্রী-সন্তানদের আয় এক কোটি ৪৫ লাখ টাকা। নগদ ১২ লাখ টাকা, ব্যাংকে জমা ছয় কোটি ৮ লাখ টাকাসহ মোট অস্থাবর সম্পত্তি সাত কোটি ৪৪ লাখ টাকার। স্ত্রীর অস্থাবর সম্পত্তি আছে তিন কোটি ৮৩ লাখ টাকার। নির্ভরশীলরা ছয় কোটি ২৪ লাখ টাকার মালিক। আরিফুর রহমানের আট কোটি ১১ লাখ ও স্ত্রীর দুই কোটি ৪৬ লাখ টাকার স্থাবর সম্পদ আছে। যৌথ মালিকানায় আরও দুটি বাড়ির কথা লেখা হলেও দাম উল্লেখ করা হয়নি।


অপর প্রার্থী সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সুলতান হোসেন খান পেশায় ব্যবসায়ী। কৃষিখাত, ব্যবসা, সঞ্চয়পত্র, এফডিআর ও ডিপিএসসহ তার এবং নির্ভরশীলদের বার্ষিক আয় এক কোটি ৫৯ লাখ টাকা। তার নগদ পাঁচ কোটি ৪১ লাখ, এফডিআর ৭৪ লাখ টাকাসহ মোট অস্থাবর সম্পত্তি ছয় কোটি ৪০ লাখ টাকার।


আরিফুর রহমানের নামে জমি ও অ্যাপার্টমেন্টসহ স্থাবর সম্পত্তি ৪৯ লাখ ৮৭ হাজার টাকার। তবে তার চেয়ে কয়েক গুণ বেশি টাকার স্থাবর সম্পত্তি আছে স্ত্রীর। এ সম্পত্তির মূল্য দেখানো হয়েছে দুই কোটি ৬২ লাখ ৭৩ হাজার টাকা। হলফনামায় উল্লেখিত সম্পদের বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রার্থী নুরুল আমীন খান সুরুজ বলেন, যেমন সম্পত্তি রয়েছে, তেমন ব্যয়ও রয়েছে। অপর প্রার্থী সুলতান হোসেন খান বলেন, বাস্তবে যা আছে তাই হলফনামায় উল্লেখ করেছি।


নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ স্বাধীন ৭১

সর্বশেষ সংবাদ
notebook

কয়রার দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীর সহযোগিতায় জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন