ঢাকা | বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর মোহনায় বিধ্বস্ত প্রশিক্ষণ বিমানের পাইলটের মৃত্যু

  • আপলোড তারিখঃ 09-05-2024 ইং |
  • নিউজটি দেখেছেনঃ 278336 জন
চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর মোহনায় বিধ্বস্ত প্রশিক্ষণ বিমানের পাইলটের মৃত্যু ছবির ক্যাপশন: স্বাধীন ৭১
LaraTemplate

চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দুর্ঘটনার পর বিমানটির পাইলট ও কো-পাইলটকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করার পর পাইলটের মৃত্যু হয়। চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) উপকমিশনার (বন্দর) শাকিলা সোলতানা বিষয়টি জানিয়েছেন। নিহত স্কোয়াড্রন লিডার আমিম জাওয়াদ নগরীর পতেঙ্গায় বিমানবাহিনীর জহরুল হক ঘাঁটিতে অফিসার্স আবাসিক এলাকায় থাকতেন।


এর আগে, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জহুরুল হক ঘাঁটি থেকে উড্ডয়নের পর রাশিয়ান প্রশিক্ষণ বিমান ওয়াইএকে-১৩০ কর্ণফুলী নদীর মোহনায় বিধ্বস্ত হয়। এ সময় বিমানটির পেছনে আগুন জ্বলতে দেখেন স্থানীয়রা। তবে এ সময় বিমানের পাইলট ও কো-পাইলট প্যারাসুট দিয়ে নেমে যেতে সক্ষম হন। পরে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়।


দূর্ঘটনায় পতেঙ্গা বোট ক্লাবের কাছে পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালের বিপরীতে এইচ এম স্টিল মিলের সামনে পড়ে নদীতে তলিয়ে যায়। বিমানটিতে দুইজন পাইলট ছিলেন, উইং কমান্ডার সোহান ও স্কোয়াড্রন লিডার আমিম জাওয়াদ। আহত সোহান বর্তমানে বিমানবাহিনীর জহুরুল হক ঘাঁটিতে তাদের নিজস্ব হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।


চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) উপকমিশনার (বন্দর) শাকিলা সোলতানা বলেন, বিধ্বস্ত হওয়ার সময় বিমানের পাইলট ও কো-পাইলট প্যারাসুট দিয়ে নেমে যেতে সক্ষম হন। পরে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজনের মৃত্যুর বিষয় আমরা নিশ্চিত হয়েছি।


এদিকে চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক জানিয়েছেন, বিমান দুর্ঘটনার পর কর্ণফুলী নদীর মোহনায় দুর্ঘটনাস্থলের আশপাশে ঘন্টাখানেক জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল। সাড়ে ১১টার পর আবার স্বাভবিক হয়েছে।


জানা গেছে, স্কোয়াড্রন লিডার অসীম জাওয়াদ ২০০৭ সালে এসএসসি ও ২০০৯ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ- ৫ পেয়ে সাফল্যের সাথে উত্তীর্ণ হন সাভার ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে। ২০১০ সালে বাংলাদেশ এয়ারফোর্স একাডেমিতে (বাফা) যোগদান করেন। ২০১১ সালের ডিসেম্বর মাসে পাইলট অফিসার হিসেবে কমিশন লাভ করেন। তার গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলায়। তিনি  ফ্লাইং ইনস্ট্রাক্টর’স স্কুল অফ বিএএফ-এ স্টাফ ইনস্ট্রাক্টর হিসেবে। অসীম জাওয়াদ নিজের ট্রেনিং জীবনে সকল বিষয়ের শ্রেষ্ঠত্বের জন্য পেয়েছেন গৌরবমণ্ডিত ‘সোর্ড অফ অনার’। সাভার ক্যান্টনমেন্ট কলেজ থেকে এখন পর্যন্ত তিনিই একমাত্র ‘সোর্ড অফ অনার’ বিজয়ী। ফ্লাইং ইনস্ট্রাক্টরস কোর্সে শ্রেষ্ঠত্বের জন্য পেয়েছেন ‘মফিজ ট্রফি’। এছাড়া তার দায়িত্ব¡শীলতা ও কর্মক্ষেত্রে দক্ষতার জন্য প্রশংসা পেয়েছেন চিফ অফ এয়ার স্টাফ থেকে।


নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ স্বাধীন ৭১

সর্বশেষ সংবাদ
notebook

কয়রার দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীর সহযোগিতায় জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন