ভোলার বোরহানউদ্দিনের ৯টি ইউনিয়নে তারুণ্যের ভাবনায় আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রশাসক মোঃ রায়হান-উজ্জামান এর নির্দেশে এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’ এই প্রতিপাদ্যে তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে এ কর্মশালার আয়োজন করে বোরহানউদ্দিন উপজেলার পক্ষিয়া,গঙ্গাপুর,সাচড়া,টগবি,কুতুবা,বড় মানিকা,দেউলা,কাচিয়া ও হাসান নগর ইউনিয়ন।
৬ জানুয়ারি সোমবার থেকে ১০ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিভিন্ন ইউনিয়নগুলোতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কর্মশালার উদ্বোধন ঘোষণা করেন বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রায়হান-উজ্জামান।
কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রায়হান উজ্জামান বলেন,নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে ‘আগামীর তারুণ্যের ভাবনায় বাংলাদেশ’ শীর্ষক কর্মশালাটি একটি ব্যাতিক্রম উদ্যোগ। আমরা আশাকরি এই কর্মশালার মধ্যদিয়ে নতুন প্রজন্ম নতুনভাবে দেশ গড়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
কর্মশালায় স্থানীয় বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ,বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র প্রতিনিধিবৃন্দ,গণমাধ্যম কর্মী, বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকবৃন্দ,সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। প্রথমবারের মতো ইউনিয়ন পর্যায়ে এমন কর্মশালায় ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যায়। কর্মশালার অতিথি বৃন্দ অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন দিক নির্দেশনামূলক বক্তৃতা প্রদান করেন।তারা সরকারের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানান।
এ সময় বক্তারা বলেন,কর্মশালা মানেই নতুনত্ব।ছাত্রছাত্রীরা এ ধরনের কর্মশালার মাধ্যমে নিজেদেরকে সঠিক মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারবে,এই তারুণ্যের ভাবনার মধ্য দিয়েই আগামীর বাংলাদেশ সুন্দর বাংলাদেশ,সমৃদ্ধির বাংলাদেশ,দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ হিসেবে গঠিত হবে।বর্তমান সরকারের বেশ কয়েকজন তরুণ নেতৃত্ব দিচ্ছে তাই তরুণদের ভাবনাই আগামীর বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবে।এই ধরনের কর্মশালার মাধ্যমে আগামীর বাংলাদেশ কেমন হবে, কিভাবে চলবে, সেই পথ তরুণদের মাধ্যমে প্রসারিত হবে।তারা বলেন,এই ধরনের অনুষ্ঠান আমাদের এলাকাতে খুব একটা হয় না তবে এমন অনুষ্ঠান সারা দেশের মতো ভোলাতে ও হওয়ায় অন্তবতীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডঃ ইউনূসকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন বক্তারা।
কর্মশালায় বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ,জন প্রতিনিধিবৃন্দ ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী বৃন্দ তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন।
প্রত্যেকটি গ্রুপের উপস্থাপনায় আগামীর বাংলাদেশ কেমন হবে, তরুণরা কি ভাবছে সেই বিষয়ে আলোকপাত করেছেন এবং বিভিন্ন বিষয়ে তারা তুলে ধরেছেন। তাদের ভাবনায় উঠে এসেছে দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ, শিক্ষা ক্ষেত্রে দুর্নীতি রোধ, মাদক মুক্ত সমাজ ব্যবস্থা। শুরু থেকেই ধর্মীয় শিক্ষার গুরুত্ব, আধুনিক কৃষি নির্ভরশীলতা, বেকার সমস্যার সমাধান চাকরিতে দুর্নীতি, সকল বিষয়ে তরুণদের যে ভাবনা সেটি কর্মশালায় উঠে এসেছে। তরুণদের উপস্থাপনায় উঠে এসেছে নিজেকে পরিবর্তন করার প্রেরণা।
বক্তারা আরো বলেন,সবাই সবার জায়গায় থেকে নিজেরা যদি পরিবর্তিত হয়,দেশ জাতি সবকিছুই পরিবর্তন হবে এবং আগামীর বাংলাদেশ তরুণদের হাত ধরেই পরিচালিত হবে।
সর্বোপরি কর্মশালায় ৯টি ইউনিয়নেই তারুণ্যের ভাবনায় আগামীর বাংলাদেশ এই উৎসবে সর্বোচ্চ পর্যায়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন উপস্থিত অতিথি বৃন্দ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন,পক্ষিয়া ইউনিয়ন বিএনপি'র সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ হুমায়ুন কবির সেলিম,পক্ষিয়া ইউনিয়নের (ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান মোঃ হুমায়ুন কবির,ইউপি সচিব মকিন জান,ইউনিয়ন বিএনপি'র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জসিম মাতব্বর,যুবদলের সদস্য সচিব মোঃ তৈয়বুর রহমান মাতাব্বর,সাবেক ইউপি সদস্য নুরুদ্দিন হাওলাদার,ইউনিয়ন বিএনপি'র সাধারণ সম্পাদক লোকমান হাওলাদার,পক্ষিয়া ইউনিয়ন জামাতের আমির হারুন অর রশিদ,টগবি ইউপি চেয়ারম্যান জসিম হাওলাদার,কাচিয়া ইউনিয়নের (ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান মোঃ ফিরোজ,সাচড়া ইউনিয়নের (ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান মোঃ মহিউদ্দিন মোল্লা,ইউনিয়ন বিএনপি'র সভাপতি রুহুল আমিন মোল্লা,বড়মানিকা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন হায়দার,ইউপি সচিব মোঃ কালিমুল্লাহ, কুতুবা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাজমুল হাসান জুবায়েদ,গঙ্গাপুর ইউনিয়ন বিএনপি'র সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাইনুদ্দিন কাজী,ইউপি সচিব রমজান আলী প্রমুখ।