ঢাকা | বঙ্গাব্দ

জন্মদিনে রঙ তুলির আচরে বর্ণিল সাজে সেজেছে ইবি

  • আপলোড তারিখঃ 23-11-2024 ইং |
  • নিউজটি দেখেছেনঃ 94240 জন
জন্মদিনে রঙ তুলির আচরে বর্ণিল সাজে সেজেছে ইবি ছবির ক্যাপশন: স্বাধীন ৭১
LaraTemplate

২২ নভেম্বর পালিত হচ্ছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ৪৬ তম জন্ম দিবস। এই দিবস উপলক্ষে পুরো ক্যাম্পাস সেজেছে বর্ণিল সাজে। জন্মদিন উপলক্ষে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে ক্যাম্পাসে। আলপনা অঙ্কনে ব্যস্ত সময় পার করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বুননের সদস্য ও শিক্ষার্থীরা। আলপনার বর্ণিল রঙ যেন এই আনন্দকে আরও গভীরভাবে ফুটিয়ে তুলেছে।


সরেজমিন দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানজুড়ে আঁকা হচ্ছে বর্ণিল আলপনা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক, প্রশাসনিক ভবন,  ডায়না চত্বর ও বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে সামনে ও পিছনে এই আলপনার নকশায় সজ্জিত করা হয়েছে। এই আয়োজন শুধু ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য বাড়ায়নি, বরং শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি উৎসবের আবহও তৈরি করেছে। বুননের সদস্য ও শিক্ষার্থীরা দলবেঁধে আলপনা আঁকার কাজে অংশ নিয়েছেন। দিবসের রাতেও বুননের সদস্যদের আলপনা আকাঁর কর্মযজ্ঞ থামে নাই। কেউ রং তুলির স্পর্শে ফুটিয়ে তুলছেন গ্রামীণ জীবন, কেউবা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো বা নকশা তুলে ধরছেন।


এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং শিক্ষার্থীরা আলপনার কাজ দেখে মুগ্ধ। অনেকেই জানিয়েছেন, এই ধরনের উদ্যোগ ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য বৃদ্ধির পাশাপাশি সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের প্রতি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বাড়াতে সাহায্য করবে।


আল্পনার কাজ দেখে মুগ্ধ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানান, এই ধরনের উদ্যোগ ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য বৃদ্ধির পাশাপাশি  শিক্ষার্থীদের মাঝে ঐক্য এবং সৃজনশীলতার চর্চাকে উৎসাহিত করবে। পাশাপাশি সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের প্রতি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বাড়বে। এই আয়োজন আমাদের সবার জন্য অনেক আনন্দের। আল্পনা আঁকা শুধু কাজ নয়, এটি আমাদের বন্ধুত্ব আর সৃজনশীলতাকে একসঙ্গে প্রকাশ করার মাধ্যম।


বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড.আলীনূর রহমান বলেন,  বিশ্ববিদ্যালয় দিবস জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতিকে ধারণ করে পালিত হবে। আলপনার মাধ্যমে  গণঅভ্যুত্থানকে ফুটিয়ে তোলার উদ্যোগটি একটি চমৎকার ও সৃজনশীল ধারণা। আলপনা, আমাদের ঐতিহ্যের একটি বিশিষ্ট শিল্পরূপ, এর মাধ্যমে ঐতিহাসিক ঘটনার চিত্রায়ণ শিক্ষার্থীদের এবং দর্শকদের মাঝে বিষয়টি আরো প্রাণবন্ত করে তুলবে।


উদযাপন করা মানে হলো শিক্ষার্থীদের মধ্যে ঐতিহাসিক সংগ্রামের চেতনা পুনর্জীবিত করা এবং তাদেরকে জাতির সামাজিক ও রাজনৈতিক দায়বদ্ধতা সম্পর্কে সচেতন করা। এটি শিক্ষার্থীদেরকে স্বাধীনতা, সাম্য, এবং ন্যায়ের জন্য লড়াইয়ের মর্মবাণী শিখতে সহায়তা করবে। 


প্রসঙ্গত, ২২ নভেম্বর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এ উপলক্ষ্যে শিক্ষা ও গবেষণাকর্ম প্রদর্শনী, বর্ণাঢ্য র‌্যালি, আলোচনা সভাসহ থাকবে নানা আয়োজন। দিবসটি উপলক্ষে ২২ নভেম্বর শুক্রবার বাদ জুম‘আ প্রাথমিক কর্মসূচি হিসেবে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের অনুষ্ঠিত হবে। এদিকে দিবসটি পিছিয়ে মূল কর্মসূচি ২৫ নভেম্বর (সোমবার) পালন করা হবে।


নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ স্বাধীন ৭১

সর্বশেষ সংবাদ
notebook

কয়রার দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীর সহযোগিতায় জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন