কুমিল্লা জেলার লালমাই উপজেলার শানিচৌ গ্রামের আবুল বাসারের মেয়ে ও স্বামী মৃত, আমির হোসেনের স্ত্রী রেহেনা আক্তারের বিরুদ্ধে একাদিক বিয়ে এবং অবৈধ ভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠেছে,অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রেহানার প্রথম স্বামী মোঃ আমির হোসেন ২০১৯ সালে রোড এক্সিডেন্টে মারা যায়, প্রথম স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে শুরু হয় ধনাড্য ব্যক্তিদের টার্গেট করে রেহানার একাদিক বিয়ের সুচনা, তদন্ত সূত্রে জানা যায়।
প্রথম স্বামী মারা যাওয়ার কিছুদিন পরেই ঢাকার নাছির হোসেন নামক এক ব্যবসায়ীকে ৩০,০০,০০০/ (ত্রিশ লক্ষ) টাকা কাবিনে বিয়ে করেন, তার সাথে সংসার করার কিছুদিন যাওয়ার পর নাছিরের সাথে তার সম্পর্কে ছিন্ন হয়, এর পর শুরু তার (রেহানার) তৃতীয় মিশন, এর পর সে সাবেক ইসলামী ব্যাংক কর্মকর্তাকে ১ কোটি এক হাজার টাকার কাবিনে বিয়ে করেন তারই এলাকার হান্নান নামের একজনকে, হান্নানের বক্তব্য অনুযায়ী জানা যায় সে আমার সরলতার সুযোগ নিয়ে (রেহানা)১কোটি এক হাজার টাকার কাবিন করে আমাকে বিয়ে করে,, কিন্তু বিয়ের আগে কথা ছিল আমি শুধু তার দায়িত্ব নিবো তবে বিয়ের পর থেকে আমার সাথে সম্পর্কে ছিন্ন করার জন্য।
বিভিন্ন ভাবে সুযোগ খুজতে থাকে, এবং আমার সাথে খারাপ আচার আচরন করতে থাকে তাই পরে তাকে আমি নিজেই ডিভোর্স দেওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত নেই, এর পর রেহেনা চতুর্থ বিয়ের মিশনে জানা যায় বরুড়া উপজেলার শিলমুড়ি ইউনিযনের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ ফারুক হোসেনের সাথে বিয়ের সিদ্ধান্ত হয় তবে এখানে কাবিন উল্লেখ না করে চেয়ারম্যান ফারুখ তাকে নাম মাত্র মূল্যে ১ কোটি টাকার একটি প্রাডো গাড়ী তার নামে কাগজ করে দেন।
তদন্ত যেটুকু জানা যায় যে রেহানার আসল চরিত্রই ছিল যে সে বিয়ের প্রলোভনে পেলে বিভিন্ন ধনাঢ্য ব্যাক্তিদের বিয়ে করে পরক্ষণে তাদের ব্লেকমেইল করে কাবিনের টাকা আদায় করে অবৈধ ভাবে সম্পদ অর্জন করাই ছিল তার মুল টার্গেট সুতরাং তার এই অপকর্মের কারনে ভবিষ্যতে যেন আর কোন লোক প্রতারিত না হয়, সে জন্য সঠিক তদন্তের মাধ্যমে তাকে আইনের আওতায় এনে সঠিক বিচার করা হোক।