খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবা খাতের আউটসোর্সিং কর্মচারী নিয়োগ প্রক্রিয়া অনিয়ম ও দুর্নীতির সিন্ডিকেট একই ঠিকাদার ঘুষ দিয়ে কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে বছরের পর বছর ধরে আউটসোর্সিং কাজ চালানো হয় কোন প্রকার মনিটরিং না থাকায় কর্মচারী নিয়োগে অনৈতিক অর্থ আদায় হয়ে থাকে বলে ভুক্তভোগীদের দাবি।
এবং খেয়াল-খুশিমতো চাকরিচ্যুত ও বেতন না দেওয়ার অভিযোগ নিয়ে আজ ৫ অক্টোবর শনিবার বেলা ১১:৩০ টায় খুলনা প্রেসক্লাবের সম্মেলন কক্ষে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আউটসোর্সিং নিয়োগকে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ এর বিষয় ও বকেয়া বেতনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন সাধারণ স্টাফ গন।
সম্মেলন সূত্র জানা গেছে, সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোতে চরম জনবলসংকটের কারণে স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হওয়ায় ঠিকাদারের মাধ্যমে সরকার অস্থায়ী ভিত্তিতে ওয়ার্ড বয়, আয়া, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, নিরাপত্তা প্রহরী ও মালি পদে কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে থাকে।
প্রতিবছর দরপত্রের মাধ্যমে ঠিকাদার নিয়োগের কথা থাকলেও ২০১৯ সাল থেকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আউটসোর্সিং কর্মচারী দিয়ে যাচ্ছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাছরাঙ্গা সিকিউরিটি সার্ভিসেস ও কন্ট্রাক ক্লিনিং সার্ভিসেস লিমিটেড।
এই দুই প্রতিষ্ঠানেরই ঠিকাদার হেমায়েত হোসেন ফারুক, একাধিকবার তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি-অনিয়মের বিষয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর এবং পুলিশকে জানানো হলেও গোপনে তার প্রতিষ্ঠানের কাজের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে।