নিজের বিবেক কে প্রশ্ন করুন মানবতা ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে কিন্তু দায়ী কে কোন পক্ষ তা বুঝতে হবে চোখ কান খোলা রাখুন, হুজুগে চলতে গিয়ে কোন রাজনৈতিক দলের বলির শিকার হবেন না।
মানবাধিকার কর্মী হিসেবে আমি অবশ্যই দেশে বিরাজমান পরিস্থিতির সঠিক তদন্ত চাই,প্রতিটি খুন ও নরহত্যাসহ দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির জন্য দায়ি গোষ্ঠী ও সংগঠন গুলোর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা দেখতে চাই।
রাষ্ট্র ও নাগরিকদের যে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে তা পূরণ করতে হয়তো সময় লাগবে কিন্তু যে জীবন চলে গেছে জীবন থেকে তা কোন দিন পূরণ হবেনা।
চলে যাওয়া প্রানের স্পন্দন আর কোনদিন আমরা শুনতে ও বুঝতে পারবো না,আজকে যে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা যাচ্ছে তাতে বুঝতে বাকি নেই যে, গৃহযুদ্ধ কতট নিকটে,আমরা গৃহযুদ্ধে জড়াতে চাইনা।
আপনারা সাধারণ নাগরিক, দেশপ্রেমিক নাগরিক সমাজ গৃহযুদ্ধে নিজেদেরকে জড়াবেন না,আমরা আন্দোলন রাজনীতি শেষে কিছুই পাবো না দীর্ঘশ্বাস ছাড়া,রাজনৈতিক দলের নোংরা রাজনীতির শিকার হয়ে সাধারণ জনগন হিসেবে রাজনৈতিক বলি হওয়া চলবেনা।
কারন! কেউ মনে রাখবেনা আজকে যারা আত্ম বলিদান দিয়ে শহীদ উপাধি অর্জন করবেন তাদের কে,বছরে একদিন স্মরন করেই সব থেমে যাবে শহীদ আসাদ এর মতই! অথচ মাতা-পিতার দীর্ঘশ্বাসে পৃথিবীর আকাশ-বাতাস ভারি হয়ে উঠবে।
আমাদেরকে সতর্কতা ও সাবধনতার সাথে পরিস্থিতি দেখে বুঝে ও উপলদ্ধি করে তার পর কোন টা গুজব ও কোনটি সত্য তা গ্রহন করতে হবে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি লোকের কাছে একজন খারাপ মানুষ হতে পারেন ক্ষেত্র বিশেষে কিন্তু।
আপনি বাঙ্গালী জাতির জনকের কন্যা।
এ কথা অস্বীকার করতে পারবেন না।
আপনাকে জাতির এ গুজব ও অস্থির কালীন সময়ে বিচক্ষণতার পরিচয় দিতে হবে।
আপনাকে এক রোখা মনোভাব থেকে বেড়িয়ে আসতে হবে।
হাজারও জনের কাতারে দাড়িয়ে উপলদ্ধি করতে হবে সার্বিক পরিস্থিতি।
সাধারণ জনগণের কি চাওয়া কি পাওয়া তা অনুধাবন করতে হবে জনতার প্রতিনিধি হয়ে।
দেশের বিরাজমান এহেন পরিস্থিতিতে হয়তো কোন কোন মহল ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের ব্যর্থ চেষ্টা করতে পারে, কিন্তু কোমল মতি শিক্ষার্থীদেরকে সহজ-সরল ভাবে বেঠিক পথে পরিচালিত করছে আপনার ধারনা বা বিশ্বাস জন্মাতে পারে এ বিষয়টিও অস্বীকার করা যায়না।
আপনি সরকার প্রধান হিসেবে রাষ্ট্রের মধ্যে ঘটে যাওয়া শতাধিক ছাত্র-জনতার প্রানহানীর বিষয়টি এড়িয়ে যেতে পারেন না।
আপনি রাষ্ট্র যন্ত্রের নিয়ন্ত্রক হিসেবে জবাবদিহি করতে বাধ্য থাকলেও হয়তো আপনাকে তা করতে হয়না।
ছাত্ররা তাদের যৌক্তিক দাবী আদায়ের জন্য মাঠে নেমেছে এবং তাদের দাবীও তারা আদালতের মাধ্যমে ঘোষণা পেয়েছে রায়ের মাধ্যমে।
কিন্তু ঘোষণা বা রায় পাওয়ার আগের হতাহত ছাত্র শিশু কিশোরদের হত্যা, নরহত্যার বিচার করার ঘোষণা করার বা বিচারের যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেওয়ার দরকার ছিলো তাহলে পরিস্থিতি এতটা নাজুক হতোনা।
বর্তমানে ছাত্রদের কোটা আন্দোলনের মধ্যে হয়তো ঝিঁ-ঝিঁ পোকার অনুপ্রবেশ ঘটেছে বা ঘটে থাকতে পারে।
সরকার পতনের নীল নকশা বাস্তবায়নেরও একটা আভাস পরিলক্ষিত হচ্ছে আম জনতার নামে কিছু কিছু ব্যক্তি গোষ্ঠীর সমর্থন ও সংহতি প্রকাশের মাধ্যমে।
বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরনের জন্য অনেক কাঠ খড় পোড়াতে হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকারের ভেতরে বাইরে দলের ভেতরে ও বাইরে ষড়যন্ত্র চক্রান্ত অব্যাহত রয়েছে।
সরকার ও দলের নেতৃবৃন্দের মধ্যে কর্ম পরিকল্পনা ও সমন্বয়ের অভাবে আজকে ছাত্র-জনতা ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয় ও এ কঠিন পরিস্থিতি তৈরী হয়।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।
সময়ের শিক্ষা সবচেয়ে বড় শিক্ষা সময় বা প্রকৃতি যখন ব্যক্তিকে দেওয়া শুরু করে তখন উজার করে দেয়।
আবার যখন সময় ও প্রকৃতি গ্রহন করতে ইচ্ছা করে তখন তা সুদ ও জরিমানা সমেত পাই টু পাই হিসেব করে গ্রহন করে।
আপনার একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের উন্নয়ন হয়তো অনেকেরই চোখে পড়েনি! চোখে পড়েছে একচ্ছত্র ক্ষমতা ভোগ ও প্রয়োগ।
আপনি সময়ের সাহসী মানুষ হিসেবে অনেক পদক্ষেপ গ্রহন করেছেন! জাতির স্বার্থে আবার মহতী উদ্যোগে গ্রহন করুন।
এ দেশ ও দেশের মানুষকে রক্ষা করতে উদারতা প্রদর্শন করে মহৎ মানুষ হতে হবে আপাদমস্তকে আপনাকে।
প্রতিটি অরাজকতা শিশু হত্যা, খুন নরহত্যা, অগ্নিসংযোগ, লুট পাট সহ জনগনের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি সহ সকল ক্ষেত্রে সংঘটিত অপরাধের বিচার আপনাকে করতে হবে।
আপনার ক্যাবিনেটে যে সকল অযোগ্য অপরিপক্ক সদস্য রয়েছে তাদেরও সংস্কার প্রয়োজন বলে মনে করলে তাদেরকেও সংস্কার করার উদ্যোগ গ্রহন করতে পারেন।
কালের সন্ধিক্ষনের সময়ের চাওয়ায় ও প্রয়োজনে আপনার।
যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহনের মাধ্যমে আপনাকে প্রমান করতে হবে আপনি ক্ষমতার চেয়ারে থেকে জন সাধারণের।
সার্বিক কল্যাণে পদক্ষেপ গ্রহন ও ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে।
আশা রাখি।