ঢাকা | বঙ্গাব্দ

টাকি বা শোল মাছের বাইশের চচ্চরি যতই সুস্বাদু হোক, এটি খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত।

  • প্রতিনিধির নাম : | নিউজ প্রকাশের তারিখ : Apr 20, 2025 ইং | নিউজটি দেখেছেনঃ 1415 জন
টাকি বা শোল মাছের বাইশের চচ্চরি যতই সুস্বাদু হোক, এটি খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। ছবির ক্যাপশন: স্বাধীন ৭১
ad728
টাকি বা শোল মাছের বাইশের চচ্চরি যতই সুস্বাদু হোক, এটি খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত।

একটু সচেতন হলেই আমাদের বিলগুলো মাছে টইটম্বুর হয়ে যেতে পারে। 

বৈশাখ মাসের প্রথম বৃষ্টিতে প্লাবিত জলাশয়ের অগভীর, স্বচ্ছ পানিতে টাকি (Channa punctatus), শোল (Channa striatus), গজার (Channa marulius) ও রাগা (Channa gachua) মাছ ডিম ছাড়ে। 

ডিম ফুটে রেনু (Spawn) হওয়ার পর, এসব মাছের ছানাগুলো (বাইশ) দলবদ্ধ হয়ে মা-বাবার সরাসরি তত্ত্বাবধানে জলাশয়ে বিচরণ করে।

দেশের বিভিন্ন এলাকায় এই মাছের ছানাগুলোকে "বাইশ" বলা হয়। কিন্তু দুঃখজনকভাবে, আমরা মানুষ প্রথমে কুচ, টেডা বা হারপুন দিয়ে টাকি, শোল ও গজার মাছের মা-বাবাকে ধরে নিয়ে ভর্তা তৈরি করি। এরপর খুইয়া জাল, মশারির জাল বা গামছা দিয়ে বাইশ (ছানাগুলো) ধরে ভাজি খাই। ফলে মা, বাবা ও বাচ্চা ধরা মানে পুরো মাছের প্রজাতির বিলুপ্তির দিকে ধাবিত হওয়া।

মৎস্য আইন ১৯৫০, ১৯৮৫ ও ২০০০ অনুযায়ী বাইশ ধরা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এমনকি ব্রিটিশ ভারতের Indian Fisheries Act 1897 অনুযায়ীও এটি নিষিদ্ধ ছিল।

আসুন, বাইশ ধরা থেকে বিরত থাকি এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আমাদের মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ করি।

নিউজটি পোস্ট করেছেন : মোঃ ইমন চৌধুরী

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনাসমূহ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে

মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনাসমূহ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে